ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৫ বছরে চার কোটি টাকা লুটপাট মুক্তাগাছায় মসজিদ মাদ্রাসা ভাঙচুর ও মালামাল লুট ছুটি নিয়েও পিএইচডি করেননি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ হাসিনার লকার জব্দ করলো এনবিআর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল আইন-শৃঙ্খলার হুমকি জেল পলাতক বন্দি ও লুণ্ঠিত অস্ত্র সীমান্ত সুরক্ষা ও অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউর সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন দলের নিবন্ধনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে জেন-জি আন্দোলনে উত্তাল দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকাই কি ব্রিকসকে এগিয়ে দিচ্ছে? কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় নারী আইনজীবীর মৃত্যু রাজধানীতে অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবসায় জড়িত দু’জন গ্রেফতার চাটমোহরে ওএমএসের আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে মানুষ এস আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের নামে মামলা ফরিদপুর-৪ আসনে ভাঙ্গার দু’ইউনিয়ন নিয়ে হাইকোর্টে রিট বাগেরহাটের ৪ আসন বহালের দাবিতে মিছিল দু’দিন হরতাল পুলিশের মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী মৃত্যুশয্যায় বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া মা-নবজাতকের যত্নে পরিবর্তন আনছে স্বাস্থ্যশিক্ষা

রাজশাহীর সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিলেন ঠিকাদাররা

  • আপলোড সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১০:২২:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১০:২২:৫৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীর সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিলেন ঠিকাদাররা
রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী সিটি কপোরেশনের অধীনে বিল না পেয়ে সব উন্নয়ন কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ঠিকাদাররা। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর সপুরা এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে সমাবেশ করে তারা এ ঘোষণা দেন। এ সময় ঠিকাদাররা দাবি করেন, ঠিকাদারদের বিলের প্রায় ২৫০ ফাইল আড়াই মাস ধরে টেবিলে ফেলে রেখেছেন সিটি করপোরেশনের সচিব রুমানা আফরোজ। এতে ১৫ জন ঠিকাদারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আটকে আছে। পাওনা টাকা না পেয়ে তারা কাজের শ্রমিকের মজুরি দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাদের উপায় নেই। সমাবেশে ঠিকাদার রেজাউল করিম বলেন, ‘গত রোববার আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিল ছাড় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম।
এরপরও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে আমাদের এখন কাজ বন্ধ করতে হচ্ছে। ’ আগামী রোববার শ্রমিক ও সর্দারদের নিয়ে নগর ভবনের সামনে সমাবেশ করা হবে জানিয়ে ঠিকাদার সালাহউদ্দিন গাজী বলেন, ‘শহরে চারটি ফ্লাইওভার, ছয়টি কাঁচাবাজারসহ বেশকিছু রাস্তার কাজ চলছে। আমরা মাসে মাসে বিল নিয়ে কাজ করি। কিন্তু নতুন প্রশাসন কোন বিলই ছাড়ছে না। এ অবস্থায় শ্রমিকেরা টাকার জন্য বাড়ির সামনে চলে আসছে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। তাই কাজ বন্ধ ছাড়া উপায় নেই। ’ আরেক ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়ার শাকিলুর রহমান শাকিল বলেন, ‘হাতে টাকা না থাকায় ঠিকাদাররা দ্রুত কাজ শেষ করতে পারছেন না। ফলে কাজ চলমান অবস্থায় রাস্তায় প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি প্রচুর দূষণ হচ্ছে। রাজশাহী যে গ্রিনসিটি, সেটা আগামীতে থাকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফ্যাসিস্ট আমলে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, এখনও নব্য স্টাইলে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের মনে রাখা দরকার, আমাদের ওপর কয়েক হাজার পরিবার নির্ভরশীল। তারাও খুব কষ্টে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদের ভ্যালুলেস হিসেবে ট্রিট করছে। একজন পিয়নের দাম আছে, আমাদের নেই। সচিবের কাছে গেলে ঠিকাদার অ্যালাউ না। এটা তো হতে পারে না। টাকা বিনিয়োগের পর বিল না পেয়ে ঠিকাদারদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আরেক ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান মিলু বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে সচিব কোন বিল ছাড়েননি। এতে জনগণের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটছে। জনগণই তো দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই সচিব সময়মতো অফিসও করেন না। অফিস করেন রাতে।
তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। বিল আটকে রেখে জনদুর্ভোগ তৈরি করে তিনি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান। ’ সমাবেশ শেষে ওই এলাকার ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম। পাশাপাশি অন্য ঠিকাদাররাও তাদের সব কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন। এ সময় ঠিকাদার হাফিজুল ইসলাম, বেলাল খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন রাসিকের সচিব রুমানা আফরোজ। বিল আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘কোথায় ঠিকাদারদের ২৫০ ফাইল আটকে আছে আমি জানি না। বিল আটকে থাকলে তো তারা আমাদের জানাতেন। আমাকে কেউ তো জানাননি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য