ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ভোটগ্রহণ ইয়াকুবের পেটে গুলি লেগে বেরিয়ে যায় ভুঁড়ি প্রাণ হারান ইসমামুলও সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নিয়ে ঐকমত্য হয়নি প্রেসিডেন্টের আশ্বাস ট্রাম্প-মোদীর সম্পর্কের বরফ গলছে ঢাকায় ১৯ মি.মি বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা টেকনাফের জলসীমায় হঠাৎ বেপরোয়া আরাকান আর্মি বেকারত্বের শীর্ষে ঢাকা ২য় স্থানে চট্টগ্রাম পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা বাংলাদেশ সফরে আসছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল চার সুপারিশ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রশাসনের সংস্কার না হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে নির্বাচন : ফয়জুল করিম ৭ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ বিচারপতি মানিক ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা মেয়াদোত্তীর্ণ কনটেইনারে ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই জাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-সালাহউদ্দিন গাজীপুরে ভাগ্নের হাতে মামা খুন নেপথ্যে মাদক বরিশালে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষ, আহত ১৫
একনেকে ২৮৪০ কোটির প্রকল্প অনুমোদন

পাল্টে যাচ্ছে ঢাবির চেহারা

  • আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ১১:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ১১:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
পাল্টে যাচ্ছে ঢাবির চেহারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ বদলে দিতে দুই হাজার ৮৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করে। এর মধ্যে অন্যতম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। পরিকল্পনা কমিশনের উপস্থাপন অনুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, আবাসন, প্রশাসনিক কাঠামো ও ক্রীড়া অবকাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। প্রস্তাবিত ৪১টি বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই প্রকল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি একাডেমিক ভবন নতুনভাবে নির্মিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পশ্চিম ও উত্তর পাশে, আইএসআরটি ও ফার্মেসি বিভাগের মধ্যে, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদের নিজ নিজ স্থানে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও প্রেস বিল্ডিং এলাকায় একাধিক তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ভবন একাডেমিক পরিবেশে প্রযুক্তি ও আধুনিকতা যুক্ত করবে। আবাসিক সংকট নিরসনে ছাত্রদের জন্য ১০টি এবং ছাত্রীদের জন্য ছয়টি নতুন হল নির্মাণ করা হবে। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও ড. কুদরাত-ই-খুদা হোস্টেল এলাকায় নতুন সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ হবে। ছাত্রীদের জন্য শাহনেওয়াজ, শামসুন নাহার, কুয়েত মৈত্রী হলসহ আরও কয়েকটি স্থানে ১০ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত বিশিষ্ট ভবন গড়ে তোলা হবে। এছাড়া প্রতিটি আবাসিক হলে শিক্ষকদের জন্য ১১ তলা বিশিষ্ট ফ্ল্যাট সমন্বিত শিক্ষক কোয়ার্টার নির্মাণ করা হবে। মাস্টার দ্য সূর্যসেন ও মুহসীন হলের প্রভোস্ট বাংলো ভেঙে দুই তলা বিশিষ্ট উপ-উপাচার্যের বাংলো তৈরি হবে। দক্ষিণ ফুলার রোডে শিক্ষকদের জন্য ১৫ তলা ভবনে ১১২টি ফ্ল্যাট থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতেও আসছে আধুনিকায়নের ছোঁয়া। পুরনো ডাকসু ভবন ভেঙে নির্মিত হবে ১২ তলা মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স। প্রশাসনিক ভবনের একাংশ ভেঙে নির্মিত হবে ২০ তলা ও চারতলা দুটি আলাদা ভবন। বিদ্যমান জিমনেসিয়ামের প্রি-ইঞ্জিনিয়ারড ভবনের অসমাপ্ত কাজও শেষ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনও উন্নয়নের আওতায় আসছে। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আধুনিক গ্যালারি, বাস পার্কিং, পরিচালকের অফিস ও খেলোয়াড়দের ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে। মাঠের আয়তন ১০ হাজার ৯০০ বর্গমিটার, গ্যালারি ২ হাজার ৪০ বর্গমিটার, বাস পার্কিং ২ হাজার ৯০০ বর্গমিটার এবং পরিচালকের অফিস ও ডরমিটরি ৪ হাজার ৩২ বর্গমিটার আয়তনের হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ ও স্থাপত্যেও থাকবে ব্যাপক পরিবর্তন। শিববাড়ী এলাকার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরনো ভবন ভেঙে সেখানে নির্মিত হবে ছয়তলা শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার। মসজিদুল জামিয়া ভবন ভেঙে চারতলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। পরিবেশ উন্নয়ন ও স্থায়ী অবকাঠামোর অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হবে ২৪ হাজার ৮২০ মিটার দীর্ঘ ড্রেনেজ সিস্টেম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক সিস্টেম ও ওয়েস্ট বিন স্থাপন, রোড নেটওয়ার্ক ও সার্ভিস লাইন। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও জগন্নাথ হলে বসানো হবে পাবলিক টয়লেট। জলাধার সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনেও থাকবে আলাদা বরাদ্দ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স