ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অবিলম্বে সংস্কার গণহত্যার বিচার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে-নাহিদ রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক কাজল মোল্লা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ১০ লাখ টাকার মাদক গায়েব ২৬ দিনে ১৯৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৯ জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পে নজিরবিহীন অনিয়ম চাঁদাবাজিকালে আটক বৈষম্যবিরোধীর ৩ ও ছাত্রসংসদের ১ নেতা রিমান্ডে দেহাবশেষগুলো ছিল পরিচয় না পাওয়া ২ শিক্ষার্থীর পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি-ফখরুল ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ডকুমেন্টারি হয়ে আছে-উপদেষ্টা ফরিদা আমরা বিকৃত ইতিহাস থেকে সত্যকে উদ্ধার করতে চাই-উপদেষ্টা আদিলুর ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার দুই তরুণের স্বপ্ন, সারা বিশ্বের বাংলাদেশীদের সহজ জীবন ইমেজ সংকটে এনসিপি পাল্টে যাচ্ছে ঢাবির চেহারা গত বছর বিএনপির আয় প্রায় ১৬ কোটি, ব্যয় প্রায় ৪ কোটি টাকা টাকা ছাড়া মামলার নথি শুনানির জন্য যায় না আদালতে যশোর-খুলনা মহাসড়কের মুড়লীতে আরসিসি রিজিট ঢালাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম তিন মডেলের ওয়ালটন মনিটর এখন আরো সাশ্রয়ী মূল্যে বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক কাজল মোল্লা

  • আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৩:৫৮:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৩:৫৮:১৩ অপরাহ্ন
রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক কাজল মোল্লা
* বড় বড় কোম্পানির মালিক, পরিচালক কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আয়কর ফাইল দেখাশোনার দায়িত্বের নামে তিনি বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আসিফ মইন নামে এক করদাতার ফাইলে প্রায় ৩ কোটি টাকার কর জালিয়াতি ধরা পড়ে। রিটার্ন যাচাইয়ে দেখা যায়, উৎসে কর কর্তনের পর চালানে জালিয়াতি করে ৯০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ৩৬ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৪ লাখ টাকা গায়েব! একইভাবে ডিভিডেন্ড বাবদ ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার কর কর্তনের তথ্য থাকলেও কোনো বৈধ চালান পাওয়া যায়নি। পরিবেশ সারচার্জ বাবদও সাড়ে ৭ লাখ টাকা ফাঁকি। সারচার্জের বিষয়টি স্বীকার করলেও করের বাকি টাকা নিয়মিত জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেন আসিফ। শুরু হয় কারণ খতিয়ে দেখার কাজ। দেখা গেল, করদাতার পক্ষে প্রতিবছর কর জমা দেন কাজল মোল্লা নামে এক আইনজীবী। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তিনি ভুয়া চালান ও জাল নথি ব্যবহার করেছেন! এরপর প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের কাজ শুরু হয়। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে থাকে বছরের পর বছর ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন ফাইলে এমন কর ফাঁকির তথ্য। যেমন একটি কোম্পানির তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফাইলে প্রায় ২২ কোটি ২৪ লাখ টাকার কর ফাঁকি উদঘাটিত হয়। ১৩ করবর্ষে ফাঁকির বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে এখানেও নাম চলে আসে কাজল মোল্লার। তারা বলছেন, প্রতিবছর করের টাকা জমা দিয়েছেন। সরকারি কোষাগারে কেন জমা হয়নি, তা তারা জানেন না। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কর অফিসের অস্থায়ী নাইট গার্ড দিয়ে কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল শাহাদাত হোসেন কাজল মোল্লার। অপকর্মের দায়ে তার সে চাকরি চলে যায়। কিন্তু চাকরি হারানোর পর তার জীবনে অর্থ-বিত্তের নতুন যুগের সূচনা হয়! শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও জালিয়াতির সব দরজায় নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন কাজল মোল্লা। কর অফিসের ভেতরেই ‘কর-জালিয়াতির ব্যবসা’ দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বড় বড় কোম্পানির মালিক, পরিচালক কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আয়কর ফাইল দেখাশোনার দায়িত্বের নামে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় অন্যের ওকালতনামায় উকিলও সেজেছেন। ক্লায়েন্ট অর্থাৎ করদাতাদের কাছ থেকে নেওয়া করের অর্থের নামমাত্র অংশ রাজস্ব কোষাগারে জমা হয়, বাকি টাকা পকেটে কিংবা জাল চালান তৈরি করে পুরো টাকাই নিজ পকেটে নিয়ে যান কাজল। নিত্য-নতুন কৌশলে অসংখ্য করদাতাকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপদে ফেলেছেন তিনি। কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষ মাস। কাজল মোল্লাও অন্যের সর্বনাশ করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাতারাতি গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদবাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স আর নগদ টাকার পাহাড়। কাজল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কিংবা ক্ষুদে বার্তায় সাড়া দেননি। একবার ফোন ধরে অসুস্থতার কথা বলে লাইন কেটে দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের আচরণ করেছেন আয়কর গোয়েন্দা অফিসের সঙ্গেও। একাধিকবার শুনানিতে তলব করলেও তিনি উপস্থিত হননি। আবার উপস্থিত হলেও অসুস্থ উল্লেখ করে এড়িয়ে গেছেন। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আবদুর রকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। কর ফাঁকির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলকে অবহিত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর কর ফাঁকির সঙ্গে যে ফৌজদারি অপরাধ উদঘাটিত হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এক্ষেত্রে আমরা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তা নিতে পারি। কর অঞ্চল-৩, সার্কেল-৪৮-এর করদাতা আসিফ মইনের রিটার্ন যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, তার বেতন থেকে ৯০ লাখ টাকা উৎসে কর কাটা হলেও চালান জমা হয়েছে মাত্র ৩৬ লাখ টাকার। ১২টি চালান নম্বর দেওয়া থাকলেও প্রতিটিতে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি ছিল। এছাড়া একটি কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ডের ওপর ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কর কাটা হলেও তারও কোনো বৈধ চালান নেই। বরং জমার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে একটি সন্দেহজনক পে-অর্ডারের ফটোকপি। বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েও তিনি পরিবেশ সারচার্জ দেননি। জিজ্ঞাসাবাদে করদাতা জানান, তিনি প্রতিবছর কাজল মোল্লাকে করের পুরো অর্থ দিয়ে আসছিলেন। তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, ফাইলে সংযুক্ত চালানগুলো জাল। কাজল মোল্লা চালান জালিয়াতির বিষয় অস্বীকার করলেও ঘটনা এখানেই প্রথম প্রকাশ পায়। কর সার্কেল থেকে ওই তথ্য উদঘাটনের পর আয়কর গোয়েন্দা টিম মাঠে নামে। তারা দেখতে পায়, কাজল মোল্লা কর কর্মকর্তা পরিচয়ে আসিফ মইন, মাহমুদ বিন কাশেম ও সৈয়দ মাজহারুল হক নামের তিন কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের কর আদায় করে নিজের কাছে রাখতেন। রিটার্নে জমা দেওয়া হতো জাল চালান। আয়কর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আসিফ মইনের ২০১২-১৩ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত ১৩ বছরের আয়কর রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, প্রায় ১৮ কোটি টাকা করফাঁকি হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ টাকা ‘চালানে’ জমা দিয়েছেন কাজল মোল্লা। কিন্তু সেই চালানগুলো ছিল জাল। আসিফ মইন আয়কর গোয়েন্দাকে জানিয়েছেন, তিনি প্রতিবছর কাজল মোল্লার দাবি করা করের সমপরিমাণ টাকা দিয়েছেন। মাহমুদ বিন কাশেমের ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। যাতে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করফাঁকি বের হয়েছে। এই করদাতার ফাইলেও কর জমার যেসব চালান রয়েছে, তার বেশিরভাগ জাল। এই করদাতাও আয়কর গোয়েন্দাকে জানিয়েছেন, তিনি কাজল মোল্লাকে করের টাকা দিয়েছেন। সৈয়দ মাজহারুল হকের ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৯-২০ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। যাতে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা করফাঁকি হয়েছে। এই কর ফাইলের সঙ্গে কর হিসেবে জমা দেওয়া চালানও ছিল জাল। এই তিন কর্মকর্তার কর ফাইলে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ফাঁকি বের হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা করফাঁকি, জরিমানা প্রায় ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। তিন করদাতাই কাজল মোল্লার প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে আয়কর গোয়েন্দার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। তিন করদাতা নিরুপায় হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ইতোমধ্যে ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। চলতি বছরের ২৫ মে তারা গুলশান থানায় প্রতারক কাজল মোল্লার নামে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়েরির বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আয়কর অফিসের নিম্ন কর্মচারী পরিচয় দেওয়া কাজল মোল্লার কথায় বিশ্বাস করে তারা তাদের আয়কর সংক্রান্ত সব দায়িত্ব তাকে দিয়েছেন। মোল্লা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের আয়কর সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, রিটার্ন জমা ও সব ধরনের সনদ দিয়ে আসছিলেন। তবে কর অফিস থেকে তারা জানতে পারেন, তাদের কর বকেয়া রয়েছে। অথচ করের সমপরিমাণ টাকা মোল্লা নগদ নিয়ে গেছেন। বিষয়টি সামনে আসার পর কাজল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। মো. শামীম রেজা ও ইনা রেজা কর অঞ্চল-১, ঢাকার নিয়মিত করদাতা। এই দুই করদাতার ফাইলে প্রথম অবস্থায় সম্পদের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে। সম্পদের পরিমাণ বাড়াতে কাজল মোল্লা সার্কেল কর্মচারীদের সহায়তায় জালিয়াতির আশ্রয় নেন। এর মধ্যে মো. শামীম রেজা ও ইনা রেজার ২০২১-২২ এর পূর্ববর্তী করবর্ষসমূহের (মো. শামীম রেজার ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১ করবর্ষ এবং ইনা রেজার ২০১৩-১৪ হতে ২০১৮-১৯ করবর্ষ) রিটার্নসমূহ সার্কেল থেকে সরিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। মূল আয়কর ফাইল নষ্ট করে রিটার্নের তথ্য পরিবর্তন করে ইচ্ছেমতো তথ্য সংযোজন করে নতুন রিটার্ন তৈরি ও সই জাল করা হয়। সবচেয়ে বেশি যে জালিয়াতি হয়েছে তা হয়েছে কর আইটি ১০বি বা সম্পদ বিবরণীতে। এই দুটি ফাইলে অন্তত ৩০ কোটি টাকার সম্পদ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা করে নগদ অর্থ সংযোজন করা হয়েছে। আয়কর গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মো. শামীম রেজা, ইনা রেজা, সাবরিনা রেজা ও সামরিনা রেজা- এই চারটি ফাইলে জালিয়াতি করে কাজল মোল্লা প্রায় ৪০ কোটি টাকার ভুয়া ক্যাপিটাল ও সম্পদ দেখিয়েছেন। যাতে করফাঁকি হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অ্যাসেসমেন্ট শেষে চারটি ফাইল বর্তমানে আপিলাত ট্রাইব্যুনালে রয়েছে। জালিয়াতির সব কাজ করতে কাজল মোল্লা, কর পরিদর্শক মো. আব্দুল বারী, কর অঞ্চল-১ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. সেলিম শরীফ, নিরাপত্তা প্রহরী মো. নজরুল ইসলাম, কর অঞ্চল-১৪ ও ঢাকার নোটিশ সারভেয়ার সৈয়দ শাকিল হোসেনের সহায়তা নিয়েছেন। তারা চারজন মিলে করদাতার নথির রেকর্ড পরিবর্তন, আয়কর নথির আদেশ, আইটি-১০বি’র তথ্য পরিবর্তন করে ফাইল আবার সার্কেলে রেখেছেন। ২০২২ সালের ঘটনায় মূল রেকর্ড নষ্ট ও কর্মকর্তার সই জাল করার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা টিম। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ওই কর্মচারীদের মধ্যে কর পরিদর্শক আব্দুল বারীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও বাকিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য পরিবর্তন, মূল রেকর্ড নষ্ট ও ভুয়া নথি তৈরি করে করদাতাকে হয়রানি করার অভিযোগে কর পরিদর্শক মো. আব্দুল বারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কেবল রাজস্ব জালিয়াতি করে কাজল মোল্লা শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে গোয়েন্দা টিম প্রমাণ পেয়েছে। এক সময়ের অস্থায়ী এই নাইট গার্ডের আয়কর ফাইলেই মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। দায়-দেনা দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। নিট সম্পদ ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর মেরাদিয়ায় ৩ কাঠা ১১ ছটাক জমির ৪ ইউনিটের ৯ তলা বাড়ি, খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায় ১৩০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, শান্তিনগর কনকর্ড গ্র্যান্ডে ৩৫৩ বর্গফুটের কর্মাশিয়াল স্পেস, খিলগাঁও গোড়ান এলাকায় ৩ দশমিক ১৬ কাঠা জমিসহ ৬ তলা বাড়ি। এছাড়া নিজ জেলা ঝালকাঠিতে ৬ তলা নির্মীয়মাণ একটি বাড়ি, খিলগাঁও এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের অর্ধেক মালিকানা ও দুটি গাড়ি রয়েছে কাজল মোল্লার। তার দুজন স্ত্রী আছে। তাদের নামেও পৃথক কর ফাইল রয়েছে, সেখানেও অঢেল সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে আয়কর গোয়েন্দা কাজল মোল্লার ফাঁকির অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ডজনখানেক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ