এসএম সুমন রশিদ,আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার সকল ছোট বড় বাজারগুলোতেই অবাধে চলছে জ্বালানি পদার্থ বিক্রি করার মহোৎসব। খোলাবাজারে দাহ্য জ্বালানি তেল বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও আঞ্চলিক সড়কের পাশে খোলা প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। প্রশাসনের চোখের সামনে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা চললেও কার্যকর কোনো অভিযান বা নজরদারি চোখে পড়ছে না।
মঙ্গলবার ২৯ জুলাই সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আমতলী উপজেলার সকল বাজারগুলোতেই খোলাবাজারে সরকারের নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই অভাবে চলছে পেট্রোল, ডিজেল বিক্রি করার মহাউৎসব। আমড়াগাছিয়া স্ট্যানে রাজিব, মহিষকাটা বাস স্ট্যানে মোঃ ইসমাইল, গোজখালী বাজারে খবির মাতুব্বর ও আবুল মাতুব্বরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই খোলা বাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
অনেকেই দোকানে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই বোতলে ভরে তেল বিক্রি করছেন। দুই লিটার, এক লিটার ও আধা লিটারের প্লাস্টিক বোতলে এসব তেল বিক্রি হচ্ছে সম্পূর্ণ অরক্ষিত পরিবেশে।
জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, আধা-পাকা স্থাপনা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, নিরাপদ সংরক্ষণাগার, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ দোকানে এসব শর্ত পূরণ না করে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এমনকি অনেক দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ।
স্থানীয়রা জানান, এসব দোকানে নিম্নমানের ও ভেজাল তেল বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মোটরযানের ইঞ্জিন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে লিটারপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। ফলে সাধারণ গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
এ বিষয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ আবু হানিফ হোসেন বলেন, ‘বাজারে এভাবে তেল বিক্রি করলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে এ ধরনের তেল বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সসহ অন্যান্য অনুমোদন এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান ছাড়া এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তা না হলে অচিরেই কোনো ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
