ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করব মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের ওপর নিবিড় নজর রাখছি : জয়শঙ্কর ‘চূড়ান্ত কূটনৈতিক বিজয়’ বলছেন প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি সরকারের কূটনৈতিক বিজয় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৩৮ গাজীপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে ২ যুবকের মৃত্যু পাবনায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ চলতি বছর করোনায় আক্রান্ত ৭২০ জন মৃত্যু আরও এক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে রাকসু নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা যশোরে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাজারীবাগে বৃদ্ধা নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ বরিশালে বাড়িতে হামলা করে যুবককে হত্যা কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা লোকসানে বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খাতের হাজার হাজার প্রান্তিক ক্ষুদ্র খামার পোরশায় ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল হাসান গ্রেফতার কোনো দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই : সেনা সদর সর্দি-জ্বরে জর্জরিত দেশ
সংলাপের ২৩তম দিন

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত

  • আপলোড সময় : ০১-০৮-২০২৫ ০৩:০৯:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৮-২০২৫ ০৩:১০:১২ অপরাহ্ন
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত
* ১০০ আসনে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ * উচ্চকক্ষের নিজস্ব আইন-প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না * অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে উপস্থাপন করা হবে
* উচ্চকক্ষের এখতিয়ার নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। যেখানে সদস্যরা নিম্নকক্ষে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী সংখ্যাগত প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে মনোনীত হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংলাপের ২৩তম দিনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় এবং ভিন্নমত থাকায়, বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত জানায়।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন-প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।
নিম্নকক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলসমূহ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সংশোধনসমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে। তবে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি দাবি জানিয়েছে যে, উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে দিতে হবে। তারা উচ্চকক্ষের এখতিয়ার নিয়েও আপত্তি তুলেছে।
অন্যদিকে, সিপিবি, বাসদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, দেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যেই আলোচনার পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হয়। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। গতকাল আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া প্রমুখ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স