ঢাকা , শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫ , ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ গ্রহণ করলেও দায়ী নয় বলছে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ বড় বড় অনুষ্ঠানে নারীদের যথাযথ জায়গা দেওয়া হয় না-প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে-আলী রীয়াজ বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রত্যাশা তারেক রহমানের আন্দোলন ঠেকিয়েও সমালোচিত সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ পোশাক শ্রমিক সংহতির ১১ দাবি তুহিনকে এভাবে হত্যা করবে এটা ভাবতেও পারছি না-নিহত সাংবাদিকের বাবা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৯০ জন নির্বাচনই সংস্কার সম্পন্ন করার শান্তিপূর্ণ পথ-সাকি প্রাথমিক শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১১তম গ্রেড, বেতন বাড়বে কর্মকর্তাদেরও ন্যায্য ও বাসযোগ্য শহর গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে-ডিএনসিসি প্রশাসক ভোটার হওয়ার জন্য অর্ধলক্ষ প্রবাসীর আবেদন শক্তিশালী জোট গঠনে তৎপর জামায়াত হানিট্র্যাপের ঘটনা ভিডিও করাই কাল হয়েছে সাংবাদিক তুহিনের শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিচার চলতি বছরেই যশোরে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক আ’লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে দাঙ্গা প্রয়োজনÑ গয়েশ্বর গাজীপুরে ট্রাভেল ব্যাগ থেকে অজ্ঞাত যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রির আড়ালে মাদক ব্যবসা গ্রেফতার ১

মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দকে ভরা

  • আপলোড সময় : ০৬-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন
মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দকে ভরা
মাদারীপুর থেকে রঞ্জন কুমার মল্লিক ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। অথচ, মাদারীপুরের ৪৭ কিলোমিটার অংশে বড় বড় গর্ত থাকায় পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা যাত্রী, চালক ও পথচারীর। প্রাথমিক পর্যায়ে মহাসড়কটির খানা খন্দকে ইট, বালু আর সুরকি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। তাও বৃষ্টিতে বেশিদিন টিকছে না। অবশ্য সওজ বলছে, টেকসইভাবে সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদের অপেক্ষায় রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব খানা খন্দকের উপর দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। মহাসড়কটির ভুরঘাটা, পাথুরিয়ারপাড়, কর্ণপাড়া, ভাঙাব্রিজ, তাঁতিবাড়ি, মোস্তফাপুর, ঘটকচর, সমাদ্দার, সানেরপাড়, রাজৈর, টেকেরহাট, দিকনগর, ছাগলছিড়া, বরইতলা, বাবনাতলা, ভাঙাসহ বিভিন্ন স্থানেই বাড়ছে ঝুঁকি। প্রতিটি স্থান পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কালকিনির ভুরঘাটা পর্যন্ত মহাসড়কটির এই ৪৭ কিলোমিটার সড়ক মাদারীপুর সড়ক বিভাগের আওতায়। সড়কের বেহাল দশায় ধীরগতিতে চলাচল করে গাড়ি। এতে একদিকে লাগছে বেশি সময়, অন্যদিকে ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের খানাখন্দকে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানি। আতঙ্কে যাত্রী, চালক ও এলাকাবাসী। আর বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় বিড়ম্বনায় পথচারীরাও। মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তথ্য বলছে, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা ও মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন ছোটবড় প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এই মহাসড়কে চলাচল করে। টেকসই ভাবে মহাসড়ক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ না করায় অর্থ বরাদ্দের অভাবে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করায় সড়ক বেশি দিন টিকছে না। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুন। সেই হিসেবে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কোন উন্নয়নই হয়নি। এতে প্রতিমুহূর্তই বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। সবশেষ গেল সোমবার রাতে মহাসড়কের বরইতলা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে চালক নিহত ও আহত হন অন্তত ১৫ জন। বরিশাল থেকে ফরিদপুরগামী বাসের যাত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, ‘মাথা ব্যথা হয়ে যায় এই সড়কে বাসে উঠলে। অসুস্থতা বাড়ে। একটু পর পর বড় বড় গর্ত, ডানে গেল বামে সমস্যা। কবে এর থেকে আমরা মুক্তি পাবো, তা জানি না।’ পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা বেপারী পরিবহনের যাত্রী অজান্তা বৈদ্য বলেন, ‘পটুয়াখালী থেকে রওয়ানা দিয়ে মাদারীপুর জেলার অংশে প্রবেশ করলে আতঙ্ক বাড়ে। কখন যেন দুর্ঘটনায় পড়তে হয়, খুবই ভয় করে। আর যাতায়াতে সময় বেশি লাগার কারণে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারিও না। ’মাইক্রোবাস চালক আরিফ মৃধা বলেন, ‘সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। গাড়ি চালাতে এখন ভয় লাগে। দ্রুত এটি মেরামত করা উচিৎ। তা না হলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হতে পারে।’ আবুল হাসান নামে পিকআপ চালক বলেন, ‘ভাঙ্গা থেকে ভুরঘাটা সবখানেই এখন বড় বড় গর্ত। দুর্ভোগের শেষ নেই। গাড়ি চালাতে গিয়ে এখন অসুস্থও হয়ে পড়ছি। আমরা এর থেকে প্রতিকার চাই।’ গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক মো. ইয়ামিন বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই গাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি মেরামত করা হলে খুবই ভালো হতো। তাহলে সঠিক সময়ে যাতায়াত করতে পারতাম।’ সড়ক ও জনপদ বিভাগের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হাসান জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে ইট, সুরকি আর বালু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত করা হচ্ছে। আর টেকসইভাবে সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বরাদ্দ অনুমোদন হলে ভোগান্তি আর থাকবে। এছাড়া যে সকল কাজে ঠিকাদারের সময়সীমা রয়েছে, সেখানে ঠিকাদারও মেরামত করে দিচ্ছে। পাশাপাশি সড়কটি ছয়লেনে উন্নতিকরণ হলে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এ ব্যাপারেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সড়ক বিভাগ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ