
দশমিনায় প্রবাসী সংখ্যালঘুর বসতঘরে ডাকাতি


দশমিনা (পটুয়াখালী) থেকে সঞ্জয় ব্যানার্জী
দশমিনায় সংখ্যালঘু এক পরিবারের বসত ঘরে রাতের আঁধারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূঁজা খোলার উত্তর পাশে প্রবাসী সংখ্যালঘু পরিবারের বসত ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল নগত ৫০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি জিনিস এবং সিসি ক্যামেরার মেশিন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উপজেলার সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সন্তানদের লেখাপড়া শেষে রাতের খাবারের পরে পরিবারে সবাই নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। পরে রাত ৩টার দিকে দেখে বসত ঘরের গ্রিল কেটে দরজা ভেঙে তিন চারজন ডাকাত তাদের ঘরে ঢুকে পরে এবং তাদের শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন আর সবাইকে চুপ করে থাকতে বলেন। ডাকতদল ঘরে নগদ টাকা ও জিনিস কি আছে জানতে চাইলে তারা বলতে রাজি না হলে প্রবাসীর স্ত্রী শিক্লা রানীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। ডাকতদল ঘরের অন্যরুমে গেলে জীবন রক্ষার্থে পরিবারের সবাইকে ঘরে রেখে প্রবাসীর স্ত্রী শুক্লা রানী ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার ডাক চিৎকারের এলাকার লোকজন আসতে শুরু করলে বসত ঘরে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি জিনস এবং সিসি ক্যামেরার মেশিন ডাকাতদল নিয়ে যায়।
পরে অসুস্থ অবস্থায় শুক্লা রানীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী শুক্লা রানী বলেন, চারজন পুরুষ মানুষ মুখ বেঁধে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং ঘরে রাখা নগত ৫০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণের জিনিস এবং সিসি ক্যামেরার মেশিন নিয়ে যায়। আমার হানির ভয় দেখায় আমি সম্মান বাঁচাতে ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দেই। পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন আসে। থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুশিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ