
নাঙ্গলকোটে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে সাবেক মেম্বারকে হত্যা


নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে মো. রেজাউল করিম রাজু
নাঙ্গলকোটের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামের সাবেক মেম্বার ছালেহ আহম্মদ ও খায়ের আহম্মদ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জের ধরে সাবেক মেম্বার আলাউদ্দিনকে (৫৫) তার বাড়ির সামনে থেকে সিএনজি আটো রিকশায় তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন ওই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যন মৃত সুরুজের ছেলে। এসময় সন্ত্রাসীদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চুরিকাঘাতে আলাউদ্দিনের ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জনির (৪৫) পিঠে সন্ত্রাসীরা চুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মেম্বারকে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে শেখ ফরিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পুলিশের নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের এ এস পি নিশাত তাবাসসুম ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহত আলাউদ্দিনের ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জনির স্ত্রী দেলোয়ারা আক্তার মুন্নী বলেন, বেলা ১২টার দিকে আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাই আবুল বাশারের জানাযা শেষে তার বাড়ির সামনে আসলে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে সেনাবাহিনীর পরিচয়ে ৪-৫ জন এবং আলিয়ারা গ্রামের দুলালের ছেলে রিয়াদ, আবুল খায়েরের ছেলে শেখ ফরিদ এবং ছালেহ আহম্মদ ছেলে নুর উদ্দিন তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে মেম্বারকে সিএনজি করে নিয়ে যায়। পরে চান্দাইশ আবুল খায়ের মাস্টারের বাড়ির সামনে আলাউদ্দিনকে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। নিহত আলাউদ্দিনের স্ত্রী লায়লা বেগম বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই। এর আগে গত ১৩ জুলাই ও ২৫ জুলাই সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহম্মদ ও খায়ের আহম্মদ গোষ্ঠীর মধ্যে গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ২ দফায় সংঘর্ষ এবং ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। এঘটনায় উভয়পক্ষ কুমিল্লা কোর্টে ৪টি এবং নাঙ্গলকোট থানায় ৬টিসহ মোট ১০টি মামলা দায়ের করেন। এদিকে গত ১ আগস্ট নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবব্দুর রশিদের মাধ্যমে দু’পক্ষ আর কোনো মারামারির ঘটনায় জড়িত হবে না বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ