ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫ , ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রামগতিতে জাল দলিলে জমি আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে মাদক ব্যবসায়ী স্বামীর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী গাইবান্ধার ৫ সংসদীয় আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা নোয়াখালী-৪ আসন খসড়া প্রস্তাবের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সেনবাগের ১০টি সরকারি খাল দখলদারের কবলে জলাবদ্ধতা চরমে হিলিতে খুচরা বাজারে দাম কমল জিরার সুনামগঞ্জে ভারতীয় শাড়ি ও কসমেটিক্স আটক কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ২ পঞ্চগড়ে পাগল খ্যাত মামুন পেল জাতীয় পরিবেশ পদক চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধাকিলো পাকা রাস্তা না থাকায় অচল ১০ কোটি টাকার ব্রিজ শিবপুরে হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার চা বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা আটক অভিযুক্ত ঘোড়াঘাটে পৌরতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ নগরকান্দায় স্কুল মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা কার্যকর হল বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপ করা নতুন মার্কিন শুল্ক পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে চান জেলেনস্কি ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবানলের কবলে ফ্রান্স পাকিস্তানে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ২ পুলিশ সদস্য নিহত ফিলিস্তিনি ফুটবলারকে গুলি করে হত্যা করলো ইসরায়েল নকআউট পর্বে উঠলো ইন্টার মায়ামি

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কনটেইনার পরিবহন করতে পারছে না রেলওয়ে

  • আপলোড সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কনটেইনার পরিবহন করতে পারছে না রেলওয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন করতে পারছে না। ফলে একদিনে যেমন ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম, অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা পড়ছেন বিপাকে পড়েছে। রেলে কনটেইনার পরিবহনের দীর্ঘসূত্রতায় জাহাজ থেকে খালাস করা পণ্য ঢাকার কমলাপুর ডিপোতে পৌঁছতে ১২-১৫ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাতে পণ্য খালাসের খরচ ও ঝুঁকি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) প্রতিদিন অন্তত ২০০ একক কনটেইনার পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াগন ও ইঞ্জিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে রেলওয়েকে চিঠি দিয়েছে। তা না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে দ্রুতই কনটেইনার জটের শঙ্কা বাড়ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৮৭৬ একক কনটেইনার। আর গত ৯ জুলাই বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী ৮৬৮ একক কনটেইনার ছিল। তার বাইরে বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজে রয়েছে আরো প্রায় ৫০০ একক কনটেইনার। সেগুলোর গন্তব্যও কমলাপুর আইসিডি। কিন্তু রেল ওয়াগন ও ইঞ্জিন সংকটে সম্ভব হচ্ছে না প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ন্যূনতম ২০০ একক কনটেইনার পরিবহন। জুলাইয়ের প্রথম ৮ দিনে মাত্র ৫৪৩ একক কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৬৮ একক। অথচ পর্যাপ্ত ওয়াগন সরবরাহ পাওয়া গেলে এ সময়ে কমলাপুর আইসিডিতে অতিরিক্ত আরো ১ হাজার ৫৭ একক কনটেইনার পাঠানো সম্ভব হতো। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনই প্রতিদিন পর্যাপ্তসংখ্যক ওয়াগন সরবরাহ নিশ্চিত করা না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে কনটেইনার জট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ইয়ার্ডে দেখা দিতে পারে তীব্র স্থান সংকট। তাতে বন্দরে নোঙর করা জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসেও বিলম্ব ঘটবে। যা ব্যাহত করবে পুরো সরবরাহ চেইনকে। সূত্র জানায়, ঢাকার কমলাপুর ডিপোতে বিগত ১৯৮৭ সালে শুরু হয় রেলপথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার পরিবহন। কিন্তু দীর্ঘ এতোদিনেও রেলপথে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ ৩ শতাংশেরও কম। যদিও রেলই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন মাধ্যম। কিন্তুএখনো খুবই সীমিত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি ও রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনার এবং খালি কনটেইনার পরিবহনে রেলপথের সক্ষমতা। যেজন্য সড়কপথের বাইরে দেশে রেলপথ কিংবা নৌপথে পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়। কিন্তু এদেশে রেলপথে নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছানো যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে খরচ বেশি হলেও সড়কপথে পণ্য করেন। আর যারা রেলপথে কনটেইনার পরিবহনের উদ্যোগ নেন তারা প্রয়োজনীয় ওয়াগন সরবরাহ না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে। অথচ সময়নিষ্ঠ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে দেশে রেলপথে পণ্য পরিবহন জনপ্রিয় হয়ে উঠতো। সূত্র আরো জানায়, মূলত রেলের ইঞ্জিন সংকটের কারণে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানে নিয়মিত পণ্য পরিবহনের জন্য প্রতিদিন গড়ে যে পরিমাণ ইঞ্জিন প্রয়োজন, ওই পরিমাণ সরবরাহ করা গেলে প্রতিদিন ছয় থেকে আটটি ট্রেন চালানো সম্ভব হতো। তবে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় দৈনিক ইঞ্জিন সরবরাহ সীমিত। আর সীমিত ইঞ্জিন দিয়েই চালাতে হচ্ছে কনটেইনারবাহী ও তেলবাহী ট্রেন। এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে জানান, পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারের জট প্রকট আকার ধারণ করবে। ওসব কনটেইনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে কনটেইনার জট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা আইসিডিগামী কনটেইনারগুলো বর্তমানে রেল ওয়াগন ও ট্রেনের অভাবে চবক আইসিডি ইয়ার্ডে গড়ে ১২-১৫ দিন পর্যন্ত স্থিত রয়েছে। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আমদানিকারকরা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০০ টিইইউ কনটেইনার পরিবহনের লক্ষ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক ওয়াগন ও ট্রেন সরবরাহ করা জরুরি। অন্যদিকে এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন জানান, রেলের ইঞ্জিন সংকট প্রকট হওয়ায় চাইলেও পর্যাপ্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশার প্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ সক্ষমতার অতিরিক্ত ট্রেন চালিয়ে বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে ভূমিকা রাখে। আর ইঞ্জিন প্রাপ্তিসাপেক্ষে বন্দর চাইলে বাড়তি ট্রেন দিয়ে কনটেইনার পরিবহন করতে চেষ্টা করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স