
জোয়ারের পানিতে দিনে দু‘বার ভাসছে মোরেলগঞ্জ পৌর শহর


মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে রাজীব আহসান রাজু
বাগেররহাটের মোরেলগঞ্জে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে দিনে দুইবার ভাসছে পৌর শহর। স্থানীয়দের দাবি শহর রক্ষা বাঁধসহ সন্ন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতিনিয়ত হুমকিতেই থাকতে হচ্ছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় পানগুছি নদীর তীরবর্তী পৌর শহরের ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা বারইখালী ইউনিয়নের কাশ্মীর, বলইবুনিয়ার শ্রেণিখালী, বহরবুনিয়ার ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রাম সহ ২৫টি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। এদিকে খাউলিয়ার গাবতলায় নতুন করে আধা কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ধসে গেছে। বারইখালীর ১০৯ নং উত্তর সুতালড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২৩ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অম্বিকা চরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পানির নিচে।
বারইখালী ইউনিন জামায়েত ইসলামীর সভাপতি মহিবুল্লাহ রফিক বলেন, বারইখালী ইউনিয়নের ভড়াঘাটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে এক কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশা, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ছাড়াও পঞ্চকরনের দেবরাজের পানিউন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১২শ’ মিটার অস্থায়ী বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। পৌর শহরের কাপুড়িয়া পট্টির কাঁচা বাজার কলেজ রোড, কেজি স্কুল সডক, উপজেলা প্রশাসনিক চত্বর পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু, বারইখালী গ্রামের মো. বিপ্লব কাজী, পান ব্যবসায়ী রশিদ বেপারী, মোরেলগঞ্জ শহরের কাপড় ব্যবসায়ী আল আমিন শেখ, সাইফুল ইসলাম, বৃদ্ধ জয়নাল আবেদিন বলেন, জোয়ারের পানি দোকানে ঢুকে পড়ে কয়েক ঘন্টা বেচা বিক্রি বন্ধ থাকে। ক্রেতারা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। শুধু শুনে আসছি বেড়িবাঁধ হবে!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেছেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ইতোমধ্যে পানগুছি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৫০ কোটি টাকার বেড়িবাঁধের কাজ ২০২৩ সালে খাউলিয়া থেকে ফেরীঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার এবং শ্রেণিখালী এলাকায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন কবলিত বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ