ঢাকা , বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫ , ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’তে যোগ দিচ্ছেন আনা কেলসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন টেলর সুইফট এবার হত্যার হুমকি পেলেন কমল হাসান বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলো ঐশ্বরিয়া-অভিষেক জুটি এবার ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘সাইয়ারা’ মার্শাল আর্ট ভিত্তিক সিনেমা নিয়ে আসছেন রুবেল স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুনেরাহ এনসিপি নেতার চাঁদাবাজি দেখো আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না উত্তরা-তুরাগে হানিট্র্যাপ আতঙ্ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অর্থসংকটে ব্যাহত হৃদরোগের চিকিৎসা ১২০ বারের মতো পেছালো সাগর রুনির তদন্ত প্রতিবেদন ২৬২ যাত্রীসহ রোমে আটকা বিমানের ঢাকাগামী ফ্লাইট বিমান এয়ারলাইন্সে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি, বাড়ছে শঙ্কা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করে ৬০ ছাত্রনেতার বিবৃতি ভোট কাকে দেবেন সিদ্ধান্ত নেননি ৪৮ শতাংশ মানুষ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীদের প্রতীকী অনশনে পুলিশের বাধা পরিবহন মালিকদের চাপে নতি স্বীকার সরকারের হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু প্রাইভেটকারে দুই লাশ : সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যা বলছে পুলিশ

জালে মিলছে না আশানুরূপ মাছ ঋণ ও দাদনে দিশেহারা জেলেরা

  • আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ০৭:১৭:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৫ ০৭:১৭:৩১ অপরাহ্ন
জালে মিলছে না আশানুরূপ মাছ ঋণ ও দাদনে দিশেহারা জেলেরা
দশমিনা (পটুয়াখালী) থেকে সঞ্জয় ব্যানাজী
তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে শত শত জেলের জালে মিলছে না আশানুরূপ মাছ। সারাদিন ও রাতে নদীতে জাল ফেলে প্রায় খালি হাতেই অনেক জেলে নদীতীরে ফিরে আসছেন। এতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছশূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাট-বাজারগুলো।
অপরদিকে জেলে পরিবারগুলো ঋণের কিস্তি আর দাদনের দায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
দশমিনা উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে গত বছর এই দিনে দিন-রাত ইলিশ বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকতেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা-সেখানে এখন শূন্যতা বিরাজ করছে। ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে নদীতে প্রায় দুই মাসের সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ দিন পার হলেও জেলেদের জালে মিলছে না কোনো ইলিশ। মাছ শিকার না হওয়ার ফলে মাছের আকাল বলে দাবি করছেন জেলেরা। মাছ না পাওয়ায় হাজার হাজার জেলে পরিবারের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। ইলিশের আমদানি না হওয়ায় অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।
মাছ বিক্রির ঘাটসহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে তেমন মাছ নেই বললেই চলে। জেলে ও আড়তদাররা অলস সময় পার করছেন।
জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে অনেক অনেক দিন; কিন্তু নদীতে মাছ নেই। সারা দিন নদীতে জাল ফেলে এবং মাছ শিকার করলে দুই থেকে চারটা মাছ পাওয়া যায়। তা দিয়ে ইঞ্জিন-চালিত নৌকার তেলের খরচও জোগাড় করা যায় না। আমরা খুব সমস্যায় আছি পরিবার পরিজন নিয়ে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ১০ হাজার ১৭০ জন জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞার সময় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জেলেকে ২০ কেজি হারে সরকারি চাল দেয়া হয়। এ দিকে জেলেদেরকে দাদন দিয়ে এখন বেকাদায় পড়ছেন দাদন ব্যবসায়ীরা। মাছ ধরা না পড়ায় তারা মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। আমাদের সংসার চালাতে খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে পরিবারপরিজন, ছেলেমেয়েদের নিয়ে কিভাবে চলব সে চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিরাজ খান বলেন, তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে কোনো মাছ নেই। জেলেরাসহ আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা খুব কষ্টে আছি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে জীববৈচিত্র্যের ওপর ভারসাম্যহীন আঘাতের এবং তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে গভীরতা ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ায় ইলিশের প্রজনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে নদীতে ইলিশ মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। উপজেলার নদীসীমার আট-দশটি স্পট আছে; সেগুলো দিন দিন ভরাট হয়ে গেছে। এই স্পটগুলো ড্রেজিং করলে আবার নদীতে ইলিশের দেখা মিলতে পারে বলে এই কর্মকর্তা মনে করছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য