সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে লতা মন্ডল
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে স্বামী-স্ত্রীকে কানাডা পাঠানোর কথা বলে ১ কোটি ০৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ও ১২ সদস্যের প্রতারকচক্র । প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে সমীর দাস (৩৭) ও দীপা দাস (২৩), স্বামী-স্ত্রীর অভিযোগ। গত বুধবার দুপুরে প্রতারিত স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলার পশ্চিম-ইছাপুরা গ্রামের নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ওয়্যারেন্ট হওয়া প্রতারকচক্রের ১৩ সদস্যকে অতিশীঘ্র ধরে বিচারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সমীর দাস ও দীপা দাস তারা অভিযোগ করেন, ঢাকার গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাস্টার ওভারসিস প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক মো. জাকির হোসেন ও তার সহযোগী শ্রী সমীর চন্দ্র দাস, রতন দে, মো. হানিফ, সজীব, নাহিদ তালুকদার, ইমরান আহম্মেদ, মো. আবু বক্কর, রিয়াজুল মল্লিক, মো. কামাল হোসেন, আব্দুল মতিন, মো. ওয়াহেদুজ্জামান, আল আমীন সংঘবদ্ধ চক্র প্রতারণার মাধ্যমে তাদের ব্যাংক একাউন্টে ১ কোটি ০৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তারা উধাও হয়ে যান। মূল হোতা সিরাজদিখান উপজেলার তাজপুর গ্রামের সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী সমীর চন্দ্র দাস।
ভুক্তভোগী সমীর দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালের আগস্টে ৫ তারিখ বন্ধু শ্রী সমীর চন্দ্র দাস আমাকে অনলাইন ই ভিসার কেনিয়ার নিয়ে ওখান থেকে কানাডায় নেওয়ার কথা বলে প্রথমে ইথিওপিয়ায় এক হোটেলে আমাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনেকে ৪ মাস রাখেন পরে ১০.১০.২০২২ সালে ওখান থেকে কেনিয়া নিয়ে এক হোটেলে ৪ মাস রাখেন। দীর্ঘ আট মাসে আমাদের কানাডায় না পাঠালে আমরা বুঝতে পারি আমরা প্রতারকচক্রের হাতে পরেছি। এর পর আমারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের সহযোগিতায় কেনিয়া থেকে আমাদেরকে ৮.০৩.২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে আমি সমীর চন্দ্র দাস বাদী হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও আদিবাসী আইনে একটি মামলা করি (মামলা নং সিআর-৩৯০/২৩)। মামলাটি তদন্ত পত্রিয়া শেষে আসামিদের সমন দেওয়া হলে তারা না হাজির হলে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট তামিল হয়। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করেনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মো. জাকির হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. হানিফের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করলে তিনি বলেন তিনি সমাধানের চেষ্টা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দীপা দাস, সুবল দাস, পদ্মা রানী দাস, অপূর্ব দাস, শ্রীমতি রানী দাস, মনিকা দাস, পূর্ণতা দাস প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
