ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫ , ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে- দুদু ঢাবিতে ঠিকাদারির টাকা নিতে এসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক কক্সবাজারে চিংড়ির ঘের দখল নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১ পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে তালা বাংলাদেশে নাশকতা চালাতে হাসিনাকে সহযোগিতা করছে ভারত : রিজভী বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক শেরপুরে কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার জুলাই ঘোষণা-জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাস্তবসম্মত পদ্ধতি-শিশির মনির ফ্যাসিস্ট সরকার এস আলম গ্রুপকে সেতাবগঞ্জ চিনিকল দিতে চেয়েছিল-জোনায়েদ সাকি রমনা লোকাল ট্রেন উদ্ধারে আসা রিলিফ ট্রেনও লাইনচ্যুত সনদের আইনিভিত্তি না থাকলে আরেকটি হাসিনার জন্ম হবে-গোলাম পরওয়ার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু একজনের, হাসপাতালে ভর্তি ৪৬৬ মশাবাহিত রোগে বাড়ছে মৃত্যু মোরেলগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৫৬ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম বেগমগঞ্জে যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ আহত ৩ শার্শা সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে পুশইন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমছে পদ্মার পানি বাড়ছে ভাঙনের আশঙ্কা শ্যামনগরের নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন নোয়াখালীতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন, আটক ৩

আত্রাইয়ের যাতায়াতের রাস্তায় ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

  • আপলোড সময় : ১৮-০৮-২০২৫ ১১:১২:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৮-২০২৫ ১১:১২:৩১ পূর্বাহ্ন
আত্রাইয়ের যাতায়াতের রাস্তায় ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
আত্রাই (নওগাঁ) থেকে মো. কাজী রহমান আত্রাইয়ে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী, অবকাঠামো, খেলার মাঠ, এরিয়া প্রাচীর এবং মেনগেট থাকলেও স্কুলে যাতায়াতের জন্য নেই কোনো রাস্তা। স্কুলের চারপাশে ব্যক্তি মালিকানা জমি থাকায় শিক্ষার্থীদের কখনো মানুষের বাড়ির উঠান দিয়ে, কখনো বাগান দিয়ে আবার কখনো বা পানি ডেঙিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি আরো চরম পর্যায়ে উঠে। বলছিলাম উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়ন কোলা মধ্য বোয়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। বিদ্যালয় সূত্রে জান াযায়, ১৮৭০ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৯০ জন?। এবং প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছে পাঁচ জন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল ভবন থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে সরকারি সড়ক রয়েছে। এই দূরত্বের মাঝে কিছু ব্যাক্ত মালিকানা ও কিছু সরকারি খাস জমি রয়েছে। এবং স্কুলের প্রধান গেটের সামনে রয়েছে পানিতে ভরপুর এক ডোবা। মালিকানা এবং খাস জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়েছে মালিকপক্ষ। যার কারণে স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অন্যের জমির উপর দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করছেন। এবং বর্ষাকাল এলেই পানিতে ভিজে ছাড়া কোনোভাবেই স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আছিয়া সুলতান বলেন,“আমাদের স্কুলে আসার জন্য কোনো রাস্তা নেই। আমরা অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি। একটু বেশি বৃষ্টি হলে স্কুল গেটে পানিতে ডুবে যায় আমাদের পানিতে ভিজে স্কুলে আসতে হয়”। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিম বলে, রাস্তা না থাকায় স্কুলে আসতে আমার ভালো লাগে না। অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে স্কুলে আসতে গেলে অনেকেই অনেক রকম কথা বলে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন, এখন আমাদের বাচ্চারা অনেক ছোট, তাই তাদের সাথে আমাদের স্কুলে আসতে হয়। কিন্তু এই স্কুলে আসার কোনো রাস্তা নেই। আগে স্কুল অনেক কম ছিল, এখন অনেক স্কুল হয়েছে। এভাবে থাকলে আমাদের বাচ্চাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাবো। কোলা গ্রামের কায়মদ্দীর ছেলে আকরাম বলেন, স্কুলে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। কেউ কোনো রাস্তা দিতে চায় না। মোশারফের পুকুর পাড় দিয়ে কোনোভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যায়। এখন বন্যার সময় সে রাস্তাও ডুবে গেছে। এখন সেই দিক দিয়েও আর স্কুলে যেতে পারবে না। বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। রাস্তা থেকে স্কুলের প্রধান গেট? সোজাসুজি কিছু খাস এবং কিছু মালিকানা সম্পদ রয়েছে। তারা তাদের সম্পত্তিতে বেড়া দিয়ে পথ আটকে রেখেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটা খুবই জরুরি। আশা করি স্কুল কর্তৃপক্ষ এই রাস্তার খুব দ্রুতই ব্যবস্থা করবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা আক্তার বলেন, আমার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় আমরা বিপদে আছি। এ বিষয়ে আমি আমাদের ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করেছি। আশা করছি তাড়াতাড়ি একটা সমাধান আসবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় সামনে যেহেতু খাস সম্পত্তি রয়েছে এ সম্পত্তির মালিকানা এসিল্যান্ড বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই খাস সম্পত্তি যদি ফ্রি করে দেয় তাহলে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ করা যায়। এবং রাস্তার একটি স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব। আত্রাইয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রাণীনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, আমি সেখানে আমার সার্ভেয়ার এবং তহশিলদার পাঠাচ্ছি। তারা দেখে আসার পর প্রয়োজন হলে আমি সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় অবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ