
২০০০ কোটি টাকা দেনা রেখে ৯৩৭ কোটির রেকর্ড মুনাফা দেখালো বিমান
- আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৩:২২:৪০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৩:২২:৪০ অপরাহ্ন


দেশের একমাত্র জেট ফুয়েল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল। এটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ গত জুনের হিসাব অনুযায়ী, জেট ফুয়েল বিক্রি বাবদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে তাদের বকেয়া হিসেবে পাওনা রয়েছে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।
এদিকে পদ্মা অয়েলের কাছে ২০০০ কোটি টাকার বেশি দেনা রেখে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৩৭ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এটিকে বিমানের ৫৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফা বলছে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাটি। গতকাল সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মুনাফা ঘোষণা করা হয়। বিমানের এ রেকর্ড মুনাফার তথ্যে অনেকটাই ‘হতবাক’ পদ্মা অয়েল ও বিপিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যদিও তারা এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনের হিসাব অনুযায়ী, তারা জেট ফুয়েল বিক্রি বাবদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে প্রায় ২১০০ কোটি টাকা পাবে। জুলাইয়ে কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে বিমান। তারপরও বকেয়ার পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকার বেশি হবে। দেনার এ অর্থ পরিশোধ না করেই মুনাফা ঘোষণা করেছে বিমান।
বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৩৭ কোটি টাকা অনিরীক্ষিত মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগে বিমানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জিত হয়েছিল ২০২১-২২ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ৪৪০ কোটি টাকা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের কার্যক্রমে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন, কার্গো পরিবহন ৪৩ হাজার ৯১৮ টন এবং কেবিন ফ্যাক্টর ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বিমানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রির রেকর্ড অর্জিত হয়েছে, যা বাজারে বিমানের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও যাত্রীদের আস্থার প্রতিফলন। দ্রুত লাগেজ সরবরাহ, উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা ও বিমানবন্দর প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন যাত্রীদের মধ্যে সন্তুষ্টি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি বিমান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান কঠোরভাবে অনুসরণ করে ধারাবাহিকভাবে প্রশংসনীয় সেফটি রেকর্ড বজায় রেখেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ