নড়াইল প্রতিনিধি
পাঁচ বছর আগে নড়াইলের কালিয়া থানা এলাকার উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মাসুদ রানা হত্যা মামলায় একই এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাজল মোল্লাসহ ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলামের আদালত এই রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সেতু মোল্লা, লিংকু শেখ, সিরাজুল ইসলাম ওরফে শিপুল মোল্লা, লিঠু মোল্লা ও তপু খান ওরফো হাশিব খান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ১১ জন বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- তৈয়েবুর গাজী, হুমায়ুন মোল্লা, লিমন মোল্লা, হৃদয় খান, টনি মোল্লা, সোহাগ মোল্লা, হাসমত মোল্ল, নজরুল মোল্লা, রবি মোল্লা, আবুজর মোল্লা ও সম্রাজ মোল্লা। তাদের মধ্যে প্রথম সাত জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অপর চার আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২১ জনকে খালাসের রায় দেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডালিয়া পারভীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুনোলা বন্ধুক, শর্টগাট, পিস্তল, রামদা, চাপাতি, শাবল, লোহার রড, হকিস্টিক, হাতুড়ি, বাশের লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে বে-আইনিভাবে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে ভুক্তভোগী মাসুদ রানাকে মারাত্মক জখম করেন। মাসুদ রানাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মাসুদ রানার ছোট ভাই মামুন শেখ কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ১ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চলাকালীন সময়ে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জনের মধ্যে ৪০ জন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
