ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
বরগুনায় মাদ্রাসা ছাত্রী হত্যা

প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সহযোগীর পাঁচ বছর কারাদণ্ড

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ১০:৪১:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ১০:৪১:১৮ অপরাহ্ন
প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সহযোগীর পাঁচ বছর কারাদণ্ড
বরগুনা থেকে গোলাম হায়দার স্বপন
ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দুইলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও সহযোগী আসামিকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূঁজাখোলা ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে মোঃ হৃদয় খান (২০)। তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম (১৯)। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আমতলী থানায় ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ওই দুই আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ১২ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে (তানজিলা) ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ির ক্ষেতে শাক তুলে ঘরে রেখে আবার বাইরে যায়। দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা ও মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। পরের দিন বাদি আমতলী থানায় সাধারণ ডাইরী করেন। বাদির ছেলে ইমরান তার বাবাকে জানায় তার ফোনে অজ্ঞাতনামা একজন মেসেজ দিয়ে বলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছেড়ে দিবে। বাদি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ প্রধান আসামী হৃদয় খানকে ৭ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারী বাদির মেয়েকে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে আমতলীর জনৈক নূর মোহাম্মাদ খানের বাড়ীর সামনে হোগল পাতার মধ্যে নিয়ে ধর্ষন করে। বাদির মেয়ে ধর্ষণের কথা বলে দিতে পারে এমন আশঙ্কায় বাদির মেয়ের হিজাব দিয়ে হৃদয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। আসামী হৃদয় আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের নিকট ৮ ফেব্রুয়ারী স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দেয়। হৃদয় খানের দেখানো মতে পুলিশ মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে।
বাদি বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে আসামী হৃদয় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে  ধর্ষণের পরে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য হোগল পাতার মধ্যে দুইজনে লুকিয়ে রাখে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, বাদি অভিযোগ করেছে তার মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপীল করবে। রাস্ট্র পক্ষে বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন,  ১২ বছরের একটি ছোট মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ লাশ গোপন করা। এটি একটি জঘন্য অপরাধ। এই মেসেজটি সবার কাছে পৌছলে অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য