সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের ধোপাগুলের একটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সাদাপাথর উদ্ধার করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে। তবে কত ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে তা পরিমাপ করে পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ। তিনি বলেন, ধোপাগুল এলাকার কয়েকটি পুকুরে সাদাপাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। সেই আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ পাথর রয়েছে তা অভিযান শেষে বলা যাবে। জানা যায়, এর আগে সাদাপাথর উদ্ধারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই আলটিমেটাম গত মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় সাড়ে ছয় লাখ ঘনফুট পাথর ফেরত দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আরও ১৯ লাখ ঘনফুট পাথর। সব মিলিয়ে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ লাখ ঘনফুট সাদাপাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এদিকে, প্রশাসনের আলটিমেটাম শেষে সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাসমূহে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও পাচারের ঘটনা ঘটছে। এসব কার্যক্রমের কারণে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আদেশে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আদেশ সরকারি আদেশ হিসেবে গণ্য হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
