ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ভয়াবহ সহিংসতায় নিহত ২০ খেলাপি ঋণের অর্ধেকই উৎপাদনমুখী শিল্পে তিন বছরে দেশে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৯৫৫৫১ টাকা ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭৩ কুমিল্লায় ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার প্রযুক্তিনির্ভর বন নজরদারিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ- পরিবেশ উপদেষ্টা জয়পুরহাটে ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বরিশালে ৩৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া বিদেশি জাহাজ উদ্ধার রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩ বিআরটিএ অফিসে দালাল চক্রের কাছে গ্রাহকরা জিম্মি রুয়েটে ক্লাস করতে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ এনআইডি সংশোধনের জটিল আবেদন শুনানি ব্যতীত সিদ্ধান্ত নয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বদরুদ্দীন উমরকে শেষ শ্রদ্ধা জলবায়ু মোকাবিলায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে- অর্থ উপদেষ্টা প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে পিছিয়ে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আজ উৎসব ও শঙ্কার ডাকসু নির্বাচন নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা : আইজিপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কাল ডাকসু নির্বাচন, কে পরবেন জয়ের মুকুট

ইশতেহারে পুরোনো প্রতিশ্রুতি

  • আপলোড সময় : ০৮-০৯-২০২৫ ০৬:৫১:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৯-২০২৫ ০৬:৫১:৩৩ অপরাহ্ন
ইশতেহারে পুরোনো প্রতিশ্রুতি
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটে সমীকরণ
বদলে যাবে : মেঘমল্লার বসু
* আপনাদের ভোটে সমীকরণ বদলে যাবে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মেঘমল্লার বসু
* সব প্যানেলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার
* জাল ভোটার ধরা পড়লেই দেয়া হবে পুলিশে


কাল ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধে শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত শেষ দিনের প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। শুধু তাই নয়, শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। জানাচ্ছেন প্রতিশ্রুতি আর নানা কর্ম-পরিকল্পনা। তবে এদিন সব কিছুকে ছাপিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সুষ্ঠু-সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক-এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে সবাই নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অনেকে বলছেন এসব প্রতিশ্রুতি পুরোনো এবং এগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনের ভূমিকাই বেশি, ডাকসুর ভূমিকা কম।
ডাকসু নির্বাচনের ইশতেহারগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, বামপন্থি জোট সমর্থিত ‘প্রতিরোধ পরিষদ’, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্যানেল ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ ঘুরে ফিরে প্রায় একইরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সবাই বলছে ডাকসু ও হল নির্বাচন প্রতিবছর নিশ্চিত করা হবে, শিক্ষার্থীদের সবার জন্য পূর্ণাঙ্গ আবাসন নিশ্চিত করা হবে, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে ইত্যাদি। এসব প্রতিশ্রুতির অনেকগুলো ডাকসুর এখতিয়ারভুক্ত নয়, তবুও প্রতিটি প্যানেল সেগুলো বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি উপস্থাপন করেছে এবং এগুলোতেই জোর দিয়েছে। ডাকসু সংবিধান অনুযায়ী এর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে কমন রুম বজায় রাখা, ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা করা, জার্নাল ও ম্যাগাজিন প্রকাশ করা, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা ও সামাজিক সমাবেশ আয়োজন করা।
শিক্ষার্থীদের অনেকের প্রশ্ন, জয়ী হওয়ার পর প্রার্থীরা ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে পারবেন নাকি এটি কেবল ভোটারদের মন জয় করার কৌশল? কারণ, প্রায় একই রকমের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ইশতেহারে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই নির্বাচিত ডাকসু শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তেমন কিছুই করতে পারেনি। সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে বেশি। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের খাদ্য নিরাপত্তায় ক্যান্টিন ও কাফেটেরিয়া বিষয়ে প্যানেলগুলো নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট বলেছে, হল ও ক্যান্টিনে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু প্রণয়ন করা হবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা হবে। তবে বামপন্থি প্রতিরোধ পরিষদ বলেছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্যান্টিনের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কাফেটেরিয়া চালু করা হবে। খাবারে অন্তত ৮০০ কিলোক্যালরি নিশ্চিত করা হবে। ভর্তুকি দিয়ে দাম কমানো হবে। থাকবে বৈচিত্র্যময় মেন্যু। রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখা হবে। কলাভবন ও টিএসসি কাফেটেরিয়া সংস্কার করা হবে। প্রায় একই রকমের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ইশতেহারে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই নির্বাচিত ডাকসু শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তেমন কিছুই করতে পারেনি। সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে বেশি। ছাত্রদল ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি বাড়ানো, পুষ্টিবিদদের টিম গঠন এবং খাবারের মান ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ টিএসসি ও ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকিযুক্ত খাবার ও নতুন ক্যান্টিন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সব প্যানেলই খাবারে ভর্তুকি, মানোন্নয়ন ও নিয়মিত পরীক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলেছে। তবে প্রতিরোধ পরিষদ অতিরিক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট ক্যালোরি, রাত অবধি খাবারের ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও খাবারের মান উন্নয়নে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রায় সব প্যানেল নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ছাত্রদল নারী শিক্ষার্থীদের পোশাকের স্বাধীনতা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন, নারী চিকিৎসক, সান্ধ্য আইন বিলোপ ও রাত্রিযাপনের স্বাধীনতার কথা বলেছে। ছাত্রশিবির নিরাপদ পরিবহন, ছাত্রী হলে প্রবেশাধিকার শিথিল, মাতৃত্বকালীন ছুটি, কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাগছাস নারী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ, ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স, নামাজের স্থান প্রসার, অনাবাসিক নারীদের প্রবেশাধিকার ও নারীবান্ধব জনপরিসরের প্রস্তাব করেছে। প্রতিরোধ পর্ষদ নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার সুরক্ষা, চলাফেরার স্বাধীনতা, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকরসহ গর্ভবতী শিক্ষার্থীদের জন্য কেয়ার সেন্টার ও ব্রেস্টফিডিং কর্নার, লোকাল গার্ডিয়ান নীতি বাতিল এবং হলে আবাসিক-অনাবাসিক নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে কোনো গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রোববার সিনেট ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। চিফ রিটার্নিং অফিসার বলেন, কোনো গুজবে কান দেবেন না। আমরা সতর্ক আছি। জাল ভোটার তৈরি হচ্ছে। জাল ভোটার যাতে ভোট দিতে না পারে এজন্য কমিশন সতর্ক আছে। ধরা পড়লে সরাসরি পুলিশে দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ চাপ দিচ্ছে না। রাজনৈতিক নেতারা ভোট চেয়েছেন, এমন অভিযোগ কমিশনে আসেনি। এতে ভোটে প্রভাব পড়বে না। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বুথের সংখ্যা ১০০টি বাড়িয়ে ৮১০টি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার শেষ দিনে ইশতেহারের আদলে শপথবাক্য পাঠ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন বটতলায় শপথবাক্য পাঠ করছেন আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের প্রার্থীরা। শুরুতে প্যানেলের কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা জাতীয় সঙ্গীত পাঠের মাধ্যমে শপথ পাঠের উদ্বোধন করেন। শপথ পাঠে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা বুকে হাত রেখে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিজ্ঞা করেন। তারা বলেন,প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি আনন্দময়, বসবাসযোগ্য এবং নিরাপদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের ঘৃণিত গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য বাধ্য করানো এবং ভিন্নমতের জন্য অত্যাচার ও নিপীড়ন চালানোর যে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। যেকোন মূল্যে আমাদের ক্যাম্পাসে তা আর কখনো ফিরে আসতে দেবো না। যেভাবে আমরা বিগত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনামলের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ২০২৪ এর জুলাইয়ের রক্ত ঝরা দিনগুলোতে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, যেভাবে আমাদের অগ্রজরা ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেভাবে তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেভাবে আমাদের পূর্বসূরিরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও সাতচল্লিশের দেশভাগের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতে যদি দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনগণের মুক্তির পথ আবারও কোনো কালো শক্তির দ্বারা অবরুদ্ধ হয়, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমাদের বোনদের তথা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে একটি নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক এবং সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করবো, যেখানে তাদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য হলগুলোতে প্রশাসনের মাধ্যমে বৈধ সিটের ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সহজ-সুবিধাজনক পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা সাইবার বুলিং, মিসইনফরমেশন, ডিজইনফরমেশন ও ফেক নিউজসহ অনলাইনভিত্তিক সব ধরনের অপতৎপরতা রুখে দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
আপনাদের ভোটে সমীকরণ বদলে যাবে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, তবে দয়া করে ৯ তারিখে ভোট দিতে আসুন। আপনাদের ভোটে গোটা সমীকরণ বদলে যাবে। এখানে স্বাধীনতাবিরোধীরা একটি পদেও জয়ী হতে পারবে না। শুধু উপস্থিতি নিশ্চিত করুন, ভোটটা দিয়ে যান। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এক অদ্ভুত সময়ের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শেষ করছি। যদি আমার এই উপস্থিতি সহযোদ্ধাদের মনে সামান্য প্রেরণাও জোগায়, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে ভোট দেবেন না তাদের বলার কিছুই নেই। তবে অনেকে আছেন যারা আমাকে পছন্দ করেন, কিন্তু ভাবছেন—যে প্রার্থী আমার দোরগোড়ায় পৌঁছায়নি, সে নির্বাচিত হলে আদৌ আমার কাছে পৌঁছাবে তো? আমি শুধু বলতে চাই, শেষ পাঁচ দিন আমি চেষ্টা করেছি যেন শেষ মানুষটির কাছেও পৌঁছাতে পারি। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেই ব্যর্থতার দায় আমি নিচ্ছি। তবে যদি মনে করেন আগামী দিনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি ও আমার সহপ্রার্থীরাই উপযুক্ত, তাহলে শুধু এই কারণে ভোট থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না, যে আমি আপনাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনিয়মের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ নিয়ে ১০ দফা সতর্কতামূলক দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। এ দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা বলেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছিল নির্বাচন পুরোপুরি সুষ্ঠু হয়নি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবারের নির্বাচনের আগেই নানা প্রস্তাব ও দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে দুই-একটি বাস্তবায়িত হলেও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় এখনও উপেক্ষিত। সেগুলোর বিষয়েও প্রশাসনকে নজর দেওয়া জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি জানান শিক্ষকরা-১. প্রবেশপথ বন্ধ না করে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। কারা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করবে তা প্রকাশ করতে হবে।২. নারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ে নারী শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৩. পোলিং অফিসার নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। ৪. ভোট গ্রহণের সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাড়াতে হবে। ৫. পোলিং এজেন্টদের ভেতরে থাকার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ৬. গণমাধ্যমকর্মী ও পোলিং এজেন্টদের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করতে হবে। ৭. বুথের বাইরে লাইন ব্যবস্থাপনায় শিক্ষক ও অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। ৮. গুজব বা ভুয়া তথ্য ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৯. পর্যবেক্ষক ও এজেন্টদের জন্য বিশ্রামকক্ষ রাখতে হবে। ১০. অস্বচ্ছতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স