শ্রীপুর গাজীপুর থেকে মোঃ উজ্জল মিয়া
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর নিচে এবং সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখের ৫০০ মিটার অংশজুড়ে বর্ষায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতি বর্ষায় এই জলাবদ্ধতা হলেও তা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেই।
ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর-বরর্মী প্রবেশের এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত গণপরিবহনে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহনে শত শত গাড়ি চলাচল করে। অপরদিকে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের প্রবেশের দিকদিয়ে পানি নিষ্কাশনের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন উপজেলার হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, আশপাশের বহুতল ভবন ও মার্কেটের বর্জ্যমিশ্রিত পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তার পাশের ড্রেনে। তাতে ড্রেন বন্ধ হয়ে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে এসব ময়লা পানি ঠেলে চলাচল করতে হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কে পানির ঢেউ। ৫০০ মিটার সড়কে পুরোপুরি বর্ষার মতো পানি জমে রয়েছে। পানি ঠেলে চলাচল করছে বিভিন্ন পরিবহন। এ সময় বর্জ্যমিশ্রিত পানি ছিটে যাচ্ছে পথচারীদের গায়ে। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে গাড়িচালক ও পথচারীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিলন আহমেদ এম এ বলেন, আশপাশের বাসাবাড়ির বর্জ্য পাইপলাইনের মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে ড্রেনে। এতে ড্রেন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এত সুন্দর রাস্তা বর্ষাজুড়ে পানিতে ডুবে থাকে। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় নদীর মতো পানির ঢেউ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকার পরও সড়কে হাঁটুপানি থাকে। ড্রেন পরিষ্কার না করায় এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি বর্ষায় এখানে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এই চৌরাস্তার শ্রীপুর মুখী সড়কের প্রবেশ মুখে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার ফলে মানুষ ময়লাযুক্ত পানির মধ্য দিয়েই চলাচল করছে। রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব পরিবহণ চলাচল করছে পানির মধ্য দিয়েই।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, মাওনা-শ্রীপুর রাস্তার দুই পার্শ্বে ড্রেন পরিস্কারের কার্যক্রম চলমান আছে। তবে পরিস্কার কার্যক্রম এখনও সম্পন্ন হয় নাই। আশা করা যায়, পরিস্কার শেষে জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
