ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা যারা খেলে খেলুক আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব-সিইসি এনটিআরসিএতে অবস্থান নিয়েছেন ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের লাঠিচার্জ মানবিক পুলিশ চাচ্ছি আমরা, সবার সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা

বাজারে ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

  • আপলোড সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪২:৩২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪২:৩২ অপরাহ্ন
বাজারে ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য
জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ করে জীবন বাঁচাতে আমরা ওষুধ সেবন করি। কিন্তু জীবনরক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল। ফলে বিপন্ন হচ্ছে আমাদের জীবন। অথচ সর্বত্র ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলছে ভেজাল ওষুধ। নকল, ভেজাল মানহীন ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। ফলে রোগ নিরাময়ের আশায় ওষুধ কিনতে গিয়েও মানুষের মনে নানা সংশয় কাজ করে। ওষুধ ভালো না মন্দ, নকল না আসল, তা যাচাই করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। ফলে খুব সহজেই প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। বছরের পর বছর ধরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পত্রিকাগুলো নকল, ভেজাল ক্ষতিকর ওষুধ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসহ হরেক রকম প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিন দিন যেন নকল, ভেজাল ক্ষতিকর ওষুধের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। দেখা যাচ্ছে মূল কোম্পানির ওষুধের মতো হুবহু লেবেলে নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। মূল কোম্পানির ওষুধের চেয়ে দাম কম হওয়ায় এসব ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। রোগীর লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, অস্থিমজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওষুধ কসমেটিক আইন-২০২৩ অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্তের বাইরে গিয়ে ওষুধ ৎপাদন, নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ ৎপাদন, আমদানি-রফতানি, মজুত বা প্রদর্শন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি বা মজুত বা প্রদর্শন করলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ব্যবহার বন্ধেরও বিধান রয়েছে আইনে। এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেটি অপরাধ হবে এবং সে জন্য শাস্তি পেতে হবে। আইনে মোট ৩০টি অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগে কঠোর না হওয়ার কারণে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ভেজাল ওষুধের ৎপাদন বিপণন। ফলে আমাদের আগামী প্রজন্ম রয়েছে ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে। এটি একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তাই এখনি দেশে নকল ভেজাল ওষুধের কারবারিদের নির্মূল করতে হবে যে কোনো উপায়ে। এজন্য ওষুধের বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। নকল ওষুধের সব কারখানা খুঁজে বের করতে হবে। ধরনের ওষুধের বিক্রেতাদেরও আনতে হবে কঠোর শাস্তির আওতায়। ওষুধে ভেজালে শাস্তি শুধু জেল-জরিমানার মধ্যে সীমিত না রেখে আইনে সংশোধন এনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য