ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পরিবর্তন আসছে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায় সবাইকে ছাতার নিচে আনতে ভিত গড়ছে ঐকমত্য কমিশন জুনে ৩২৪টি রাজনৈতিক মিথ্যা তথ্য শনাক্ত : সিজিএস অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে-দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গাজীপুরে আসন বাড়ছে কমছে বাগেরহাটে : ইসি ৩৯টি সংসদীয় আসনে আসছে পরিবর্তন : ইসি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে ১৫ সদস্যের কমিটি শান্তি মিশনে মানের দিক থেকে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর আঘাত হেনেছে সুনামি কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড জুলাইয়ের আহত-নিহতদের তালিকায় অসঙ্গতি পাওয়া গেছে-মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা সবুজায়ন স্বপ্নে খরা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৬ সড়কে আলু ফেলে নওগাঁর কৃষকদের মানববন্ধন রাজধানীতে মাসে ২০টিরও বেশি হত্যা ও ৫টি ডাকাতি হচ্ছে রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক-এফডিআর নথি উদ্ধার এনসিপির সমাবেশে হামলায় আরেক মামলা আসামি সাড়ে ৫ হাজার তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে হচ্ছে কমিটি : ধর্ম উপদেষ্টা ভয়াবহতার মূলে এডিস মশার অস্বাভাবিক প্রজনন

যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করা হোক

  • আপলোড সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৪:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৪:০৫ অপরাহ্ন
যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করা হোক

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি রীতিমতো মহামারি রূপ নিয়েছে। ফলে সারা দেশে আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে দুর্ঘটনাপ্রবণ অংশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। প্রায় দুই দশক আগে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে এরইমধ্যে ২১টি সেন্টার নির্মাণ শেষ হয়েছে। তবে এসব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগই চালু করা যায়নি। সেন্টারগুলোর উদ্বোধন করা হলেও দেয়া হয়নি জনবল নিয়োগ, নেই চিকিৎসা সরঞ্জাম। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের পর পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আলাদা করে আঞ্চলিকভাবে ট্রমা সেন্টার কার্যকর নয়। সেজন্য নতুন করে আর কোনো ট্রমা সেন্টার নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কারন, শুধুমাত্র সঠিক তদারকি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাবে সরকারের অনেক মহ কাজ মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। জনগণ তার সুফল পায় না। এরমধ্যে ট্রমা সেন্টার অন্যতম। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে ২০১০ সালে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৬টি ট্রমা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। তার অনেকগুলোর নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। তবে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত চালুই হয়নি সেন্টারগুলো। ব্যবহার না থাকায় ট্রমা সেন্টারের অবকাঠামোসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। আবার অনেক সেন্টারে কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও সেগুলো বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সেন্টার নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো জনবল নিয়োগ হয়নি। স্থাপন হয়নি কোনো যন্ত্রপাতিও। আসবাবপত্রও সংযোজন হয়নি ট্রমা সেন্টারগুলোয়। এর ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতরাও বঞ্চিত হচ্ছেন ত্বরি চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে। দুর্ঘটনায় আহতদের এখনও ভরসা রাখতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোর ওপর। যানজটের কারণে এত পথ পাড়ি দিতে গিয়ে সড়কেই অনেক সময় মৃত্যু ঘটে রোগীদের। তাছাড়া কারণে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। এতে করে হতাহত এসব মানুষের পরিবারও ভুক্তভোগী হচ্ছে। কারণ, সড়কে প্রাণ হারানো বা ভুক্তভোগীদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। চিকিৎসকরা জানান, দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে সঠিক চিকিৎসা পেলে পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচা সম্ভব।
তাই দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহতদের চিকিৎসার স্বার্থে পূর্ণাঙ্গ ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করা জরুরি। এতো কোটি  কোটি টাকা খরচ করার পরেও জনবল যন্ত্রপাতির অভাবে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু না হওয়াটা খুবই দুঃখজনক। কার বা কাদের গাফেলতির কারণে সেন্টারগুলো চালু হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল। তাই আশা করি সারাদেশে নির্মিত ট্রমা সেন্টারগুলো কোনটি কোনো অবস্থায় আছে তার খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। এবং শিগগিরই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ট্রমা সেন্টারগুলো পুরোপুরি চালু করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য