ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

বরাদ্দকৃত সেতু অকেজো কেন?

  • আপলোড সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৬-২০২৪ ১০:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
বরাদ্দকৃত সেতু অকেজো কেন?
আশা রানি ঘোষ
উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয় জনজীবনের উন্নয়নের কথা ভেবেই। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা করতে গেলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। দেশ এবং মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, সেতু ইত্যাদিতে সরকার যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে থাকেন। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয় উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা। যখন সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ অনার্থকে পরিণত হয় তখন বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়? বলছি ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণের কথা।
 দুই পাশের কৃষিজমির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু হঠা দেখলে মনে হবে যেন কৃষিজমি থেকে বেরিয়েছে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতার মধ্যে ৩৪ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা সেতুটির নেই কোনো সংযোগ সড়ক ফলে সেটি স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনযায়ী, ২০১৮ সালের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, ওই সময়ের মধ্যেও শেষ হয়নি। ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কেটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দুই বছর আগেই সেতু নির্মাণ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ঠিকাদার দুই পাশের সংযোগ সড়ক করতে পারছে না। দুই পাড়ে ৬৩০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে দশমিক ৯৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শতভাগ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ আটকে গেছে। সংযোগ সড়কের অভাবে আগের মতোই খেয়া নৌকা দিয়ে পার হচ্ছেন দুই পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে কোনো রাস্তা করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এলাকার প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যতদ্রুত সম্ভব সেতুতে যাতায়াত ব্যবস্থা করা হে।
লেখক : শিক্ষিকা
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য