ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে

  • আপলোড সময় : ২৪-০৬-২০২৪ ১০:৪৬:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৬-২০২৪ ১০:৪০:৩০ পূর্বাহ্ন
চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে
১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন চাঁদের বুকে প্রথম অবতরণ করেনযুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার চন্দ্র বিজয় অভিযান মানব ইতিহাসের স্মরণীয় একটি ঘটনা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে, কিন্তু এই অভিযানকে সন্দেহ আর দ্বিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন গবেষক বিল কায়সিংএক লেখনীর মাধ্যমে চন্দ্র বিজয়কে ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন তিনিবিল কায়সিং নিজেই নাসার মহাকাশ কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেনতিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ সাল সময়ে রকেটডাইনেরনামের একটি প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় বিল স্যাটার্ন ৫রকেটের ইঞ্জিনের নকশা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনবিল ১৯৭৬ সালে উই নেভার ওয়েন্ট টু দ্য মুননামে একটি বই প্রকাশ করেনসেই বই অবলম্বনে পরে হলিউডে সিনেমাসহ বিভিন্ন তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয়রাশিয়া, জাপান বা চীনের বিজ্ঞানীরা চাঁদে মানুষের অবতরণকে স্বীকার করলেও বিল কায়সিংয়ের বই, সিনেমা ও তথ্যচিত্রের কারণে এখনো নীল আর্মস্ট্রংদের চাঁদের বুকে প্রথম অবতরণকে ভুয়া বলে মনে করেন অনেকে
এ বিষয়ে নাসার সাবেক প্রধান ইতিহাসবিদ রজার লাউনিয়াস বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ইন্টারনেটের কারণে আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষ যা খুশি তাই বলতে পারছেসত্যি কথা হচ্ছে, মার্কিনরা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পছন্দ করেপ্রতিবারই বড় কোনো ঘটনা ঘটলে পাল্টা ব্যাখ্যা আসবেই
শুধু মার্কিনরা নয়, ব্রিটিশরাও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পছন্দ করেগত বছর দেশটির একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়, চাঁদ আলো দিয়ে তৈরি, তাই কেউ চাঁদে হাঁটতে পারে নামার্টিন কেনি নামের এক ব্যক্তি সেই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দাবি করেন, এত দিন চাঁদে অবতরণ প্রমাণের কোনো উপায় ছিল নাএখন প্রযুক্তির যুগে অনেক তরুণ নিজেরাই বিষয়টি অনুসন্ধান করছেনএকটি জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ব্রিটিশ চাঁদে অবতরণের ঘটনাকে নাটক বলে মনে করেন৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন চন্দ্র বিজয় একটি প্রতারণাতরুণদের মধ্যে চন্দ্র বিজয় হয়নি বলে বিশ্বাস বেশি২৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ২১ শতাংশ চাঁদে অবতরণকে নাটক বলে মনে করেন
১৯৭৬ সালের পরে বিল কায়সিংয়ের চন্দ্র বিজয় নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেনপ্রশ্নগুলো হচ্ছে, চন্দ্র বিজয়ের কোনো ছবিতে তারা নেই কেন? নভোচারীদের ছায়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিল২০০৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিল কায়সিং চন্দ্র বিজয়কে প্রতারণা বলে দাবি করেছেনকোনো একটি স্টুডিওতে চন্দ্র বিজয়ের পুরো নাটক চিত্রায়িত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনিসেই সময়ে নাসার সক্ষমতা নিয়ে তার প্রশ্ন ছিল১৯৫৭ সালের অক্টোবরে রুশরা স্পুতনিক১ যান প্রেরণ করে মহাকাশেতখন মার্কিন মহাকাশ কর্মসূচির অস্তিত্ব ছিল নানাসা ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়১৯৬১ সালের নাসা অ্যালান শেপার্ডকে মহাকাশে প্রেরণ করেচন্দ্র বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ শুরু করলেও অনেক বাধা ছিল নাসার সামনেঅ্যাপলো১ নভোযান দুর্ঘটনায় তখন তিনজন নভোচারী মারা যান
চন্দ্র বিজয় নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার জন্য জেমস বন্ডের একটি সিনেমারও অবদান রয়েছে বেশডায়মন্ডস আর ফরএভার সিনেমায় ১৯৭১ সালে শন কনোরি লাস ভেগাসের ক্যাসি থেকে নাসার একটি গবেষণা কেন্দ্রে প্রবেশ করেনসেই দৃশ্য দেখে চন্দ্র বিজয় নিয়ে অবিশ্বাসীদের প্রচারণা আরও বেড়ে যায়১৯৮০ সালে ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি নাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, ওয়াল্ট ডিজনির অর্থে আর্থার সি ক্লার্কের স্ক্রিপ্টে স্ট্যানলি কুবরিক চন্দ্র বিজয়ের ভিডিও ধারণ করেছে
চন্দ্র বিজয় নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে ২০০১ সালেসেই সময় ফক্স নিউজ ডিড উই ল্যান্ড অন দ্য মুননামে একটি তথ্যচিত্রে বিলের সব প্রশ্নই নতুন করে উপস্থাপন করা হয়সেই সময়ের জরিপ অনুসারে ২০ ভাগ মার্কিনি চন্দ্র বিজয়কে মিথ্যা বলে মনে করেনসূত্র: প্রথম আলো ও ডেইলি মেইল
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স