ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

সংরক্ষিত মহিলা এমপি  সুযোগ সুবিধা একই ক্ষমতা সীমিত

  • আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৪ ০৪:৩৬:০১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৪ ০৪:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন
সংরক্ষিত মহিলা এমপি  সুযোগ সুবিধা একই ক্ষমতা সীমিত
জাতীয় নির্বাচন শেষ করে সরকার গঠন করার পর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য শুরু হয় তোড়জোড়। সংবিধান অনুযায়ী গেজেট হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরও কেন সংরক্ষিত আসনে নারীদের সংসদ সদস্য করা হয়, আর তারা কোন এলাকার হয়ে কাজ করবেন, সংসদে তাদের ভূমিকা কী, একজন এমপি হয়ে কী কী কাজ করতে পারেন বা তাদের কাজ করার পরিধি কতটুকু, কারা সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে পারবেন-এসব নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা। এই বিষয় নিয়ে জাতীয় সংসদের একাধিক হুইপের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখার সুযোগ পান না। যারা ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল হয়ে থাকে সংসদে এসব রাজনৈতিক দল থেকে রাজনৈতিক পরিবার থেকেই সাধারণত সংরক্ষিত আসনের সদস্য নিবার্চন করা হয়। যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, জনপ্রতিনিধিদের ভোটে (এমপি) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হন, তাই তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করার সুযোগ কম। সংসদ কার্যক্রমেও অবদান রাখার সুযোগ কম হয়। কেননা সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের কার্যপরিধির ব্যাপ্তি বা দায়িত্বের বিষয়ে সংবিধানে আলাদাভাবে উলেখ নেই। তবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা। মূলত রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করা হয়।
সংবিধানের চতুদর্শ সংশোধনী অনুযায়ী, ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে নির্ধারণ করা হয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে (সে সময় ৪৫টি) একটি দল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী সাংসদকে সুযোগ দেয়া হবে, এবং তা হবে সংসদে ওই দলের কতজন প্রতিনিধি রয়েছে তার অনুপাতে। অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক দলের ৬ জন যদি নির্বাচিত সদস্য থাকে, তাহলে ওই দল থেকে একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হবেন। তখন এই সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে এই রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন এবং সেই দলের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে বিজয়ী হয়ে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হতে পারবেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যে অধিকার, সংরক্ষিত নারী এমপিদেরও একই অধিকার। তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত না, ওনারা এমপিদের ভোটে নির্বাচিত। আইন অনুযায়ী সংরক্ষতি নারী এমপিদের একই ভ্যালু। নির্বাচনি এলাকার কার্যক্রমে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয় এবং টিআর, কাবিখা এইসবে তাদের বরাদ্দটা কম থাকে, কারণ তাদের যেহেতু সরাসরি এসব দেখাশোনা করতে হয় না। বাকি সব কাজই এক। মিটিংয়ে সেইম, সুযোগ-সুবিধাও সেইম। তারাও তো জাতীয় সংসদেরই এমপি। তাদের সরাসরি কোনো নির্বাচনি এলাকা না থাকলেও দলের পক্ষ থেকে তাদের কোনো না কোনো নির্বাচনি এলাকায় দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তবে নির্দিষ্ট করে না। তারা যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় বরাদ্দ করাতে চান তাহলে পারবেন। তবে স্থানীয় এমপিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য এবং সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের মর্যাদা, সংসদীয় কার্যক্রম একই ধরণের। তারা সংসদ কার্যক্রমে সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী একই ধরণের কার্যক্রম করবেন। কোনো ক্ষেত্রেই তাদের বাধা নেই। তবে সংরক্ষিত সংসদ সদস্যগণকে নির্দিষ্ট কোনো নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। তারা স্বীয় বিবেচনা মোতাবেক দেশের যেকোনো প্রান্তে জনসেবামূলক কার্যক্রম এবং দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাদের অনুকূলে বরাদ্দসমূহ দেশের যেকোনো এলাকার জনস্বার্থে আইন ও বিধির আওতায় ব্যয় করতে পারেন। নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। তবে, দলীয়ভাবে তারা যেন সরাসরি নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈরিতা না করেন সেই বিষয়ে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়। 
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর আগে আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন দিয়েছে দুজনকে। ১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়ে না। তাই ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই দল থেকে মনোনীত প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ