ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

সারাদেশে কমছে বন্যার পানি বাড়ছে পানিবাহিত রোগবালাই

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:২৯:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৪ ০৭:২৯:৫৫ অপরাহ্ন
সারাদেশে কমছে বন্যার পানি বাড়ছে পানিবাহিত রোগবালাই
বিশেষ প্রতিনিধি
দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাদূষিত পানি পান ও বন্যার পানিতে চলাফেরার কারণে এ ধরনের রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও চোখের প্রদাহের রোগীর সংখ্যাই বেশিতবে সিলেট বিভাগের কোনো জেলায় এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক নয়আমাদের আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো
সিলেট : সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে সিলেটে প্রথম দফা বন্যার পর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৮১৩ জনএর মধ্যে চর্মরোগে ৯৫ জন, ডায়রিয়ায় ৫৮ জন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৬৮ জন, চোখের প্রদাহে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেবাকিরা ভুগছে অন্যান্য পানিবাহিত রোগেসিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এই পরিসংখ্যান শুধু সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নিয়েতবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশিকারণ অনেক এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় রোগীদের পক্ষে হাসপাতাল পর্যন্ত আসা সম্ভব হচ্ছে নাআবার অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতাল পর্যন্ত আসে না, ঘরেই চিকিৎসা নেয়ফলে প্রকৃত চিত্র জানা কঠিন ১৩ উপজেলাজুড়ে বন্যার বিপরীতে রোগীর এই সংখ্যা কম কি না-এমন প্রশ্নে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথাকারণ অনেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে নাবন্যা আক্রান্তদের সেবা দিতে ১৩৯টি টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক নয়, নিয়ন্ত্রণেই আছে
সুনামগঞ্জ : বানভাসিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ১০১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানায়
সিভিল সার্জন কার্যালয়ও প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১০১টি টিম গঠনের কথা নিশ্চিত করেছেতবে এসব টিমের প্রদত্ত সেবার কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেনি তারাসুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার নাতি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েচারদিকে পানি, নৌকা নেইআমরা শুনেছিলাম মেডিক্যাল টিম এসে সেবা দেবেকিন্তু তাদের জন্য অপেক্ষা করেও পাইনিপরের দিন আমি নৌকা জোগাড় করে হাসপাতালে নিয়ে গেছিমোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন অনেক মানুষের চর্মরোগ ও পেটের পীড়া দেখা দিচ্ছেকিন্তু ইউনিয়নের কোথাও মেডিক্যাল টিমকে সেবা দিতে দেখিনিরোগীরা স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেসুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল টিমগুলো গঠন করা হয়েছেতবে আমরা ব্যানার-সাইনবোর্ড নিয়ে কর্মসূচি না চালানোয় লোকজন আমাদের দেখতে পারেনিবন্যাকবলিতদের কতজনকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পরিসংখ্যান করিনি আমরা
মৌলভীবাজার : বন্যায় জেলার ৪৯টি ইউনিয়নের নলকূপ ও  ভাসমান শৌচাগার তলিয়ে যায়সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৮০২ জন।  বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসিদের চিকিৎসাসেবা দিতে মৌলভীবাজার জেলায় ৭৪টি মেডিক্যাল টিম করা হয়স্বাস্থ্যকর্মীরা বানভাসিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে সহযোগিতা করছেনজুড়ি উপজেলায় হাকালুকি হাওরপারের বাসিন্দা রহিমা খাতুন (৪৫) জানান, এখনো বন্যার পানির ভেতরেই তাদের চলাচল করতে হচ্ছেএতে তার হাতে-পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছেগ্রামের সব পরিবারেই কোনো না কোনো রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনিহাওর এলাকায় এখনো কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আসেননি বলে অভিযোগ করে বানভাসি মানুষরাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি এলাকার সুরুজ মিয়া বলেন, আমার নাতি সুমন মিয়া (৮) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেবাড়িতেই চিকিৎসা চলছেসিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, জেলায় ৬৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়েছেআমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকায় করে বানভাসিদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেনএখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ