ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয়

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী

  • আপলোড সময় : ০৭-০৭-২০২৪ ০১:২৫:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৭-২০২৪ ০১:২৫:৫১ অপরাহ্ন
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী
নীলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী

রাজধানীতে কিউলেক্স মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশা দমনে নগর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও নগরীতে মশার উপদ্রব কমেনি। দিনরাত মশার ৎপাতে সমান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কখনো ফগার দিয়ে, কখনো স্প্রেয়ারের সাহায্যে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ কিন্তু তারপরও কমছে না মশার ¦ালাতন। জনগণের মধ্যে মশা প্রতিরোধে সচেতনতার অভাবও রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে পদক্ষেপ নিলেও তা খুব একটা উপকারে আসছে না। বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশা আছে। এর মধ্যে ঢাকায় কিউলেক্স এডিস মশার আধিপত্য বেশি। আর একটা প্রজাতির মশা ঢাকায় আছে, তবে সেটি তুলনামূলক কম। এই প্রজাতির মশা ম্যানসোনিয়া মশা নামে পরিচিত। মূলত এই প্রজাতির মশা কচুরিপানা ভর্তি ডোবা বা পুকুরে বেশি জন্মায়। শীতকালে ঢাকায় কিউলেক্স মশার ৎপাত অনেক বেশি বেড়ে যায়। এরপর বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ে। এডিস মশা খুব অল্প পরিমাণ পানিতে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এই মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। দেখা যায় মানুষ যত্রতত্র পলিথিনের ব্যাগ, ডাবের খোসা, বোতল, ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার বা বিভিন্ন ধরনের পাত্র ফেলে রাখে। সেগুলোতে জমা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা অনায়াসে বংশবিস্তার করে থাকে পাশাপাশি ফুলের টবে কিংবা ছোটখাটো পাত্রে পানি জমে থাকলে তাতেও বংশবিস্তার হয়। এতে করে নগরীতে বারো মাসই মশার উপদ্রব থাকে। সারা বছরই এডিস কিউলেক্স মশা দেখা যায়। তবে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এর ৎপাত বেশি হয়। মার্চের শেষের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে তখন এর আধিক্য কমতে শুরু করে। এক গবেষণায় দেখা যায় যখন পানির দূষণ বাড়তে থাকে তখন কিউলেক্সের আধিক্য বেড়ে যায়। কারণ দূষিত পানিতে কিউলেক্সের মশা খাবার পায়। এডিস মশার মতো কিউলেক্স মশা ভয়াবহ না হলেও মশার কামড়ে অনেক সময় গোদরোগ হয়। এটি হলে হাত-পা ফুলে শরীরের বিভিন্ন অংশ বড় হয়ে যায়। ড্রেন বা ডোবাগুলোতে পানির ফ্লো যত কম থাকবে তত এই মশার প্রজনন বাড়তে থাকবে। বৃষ্টির সময়ে ড্রেন বা ডোবাতে ফ্লো থাকে বেশি। তাই তখন এর ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে পারে না। তাই বৃষ্টির সময়ে এর আধিক্য অনেক কম থাকে। নগরবাসী এই মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়। তাই এখনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে কার্যকরী পদক্ষেপ। প্রথমত মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশার বংশবিস্তারের সুযোগ নষ্ট করতে হবে। সেইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ মশা লার্ভানাশক ওষুধও যথেষ্ট পরিমাণে ছিটাতে হবে। মশার হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় অভিযান সর্বাধিক জোরদার করতে হবে। মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বর্জ্য নিষ্কাশন, অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ এবং সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। তাই ড্রেনগুলোর ফ্লো সচল রাখতে যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। যে কোনো উপায়ে মশা নির্মূল করতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে মশার ঘনত্ব অনেক বেড়ে যেতে পারে এবং যা ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

সমাজকর্মী, খিলগাঁও
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য