ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

নেতাকর্মীদের পদভারে সরব  বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়

  • আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৪ ১১:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৪ ১১:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
নেতাকর্মীদের পদভারে সরব  বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর প্রায় আড়াই মাস তালাবদ্ধ ছিল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়। ঘটনার দুইদিন পর কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়েও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পথচারীদের পুলিশ রাস্তার পাশ দিয়ে ঘুরে যেতে বলত। মামলা গ্রেফতার আতঙ্কে তখন থেকেই বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কার্যালয়মুখী হননি।
সরকার পতন আন্দোলনে রাজপথে সরব থেকেও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি দলটি। গ্রেফতার হন বিএনপির মহাসচিবসহ অধিকাংশ সক্রিয় সিনিয়র নেতা। আর যারা বাইরে ছিলেন তারাও ফেরারি জীবন কাটিয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান নেতারা। যদিও আত্মগোপনে থেকেও সিংহভাগ নেতাকর্মীই আন্দোলনে রাজপথে সরব থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই সাড়ে তিন মাসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়মুখী হননি নেতাকর্মীরা। পুলিশি বেষ্টনীতে থাকা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে কোনো নেতাকর্মী গেলেই আটক করা হয় তাদের। মূলত এই আড়াই মাস নয়াপল্টন কার্যালয় ছিল সুনসান নীরবতা। ১১ জানুয়ারি তালাবদ্ধ কার্যালয়ে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। তবে আন্দোলনে পরাজয়, হামলা-মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ যেন ম্লান ছিল। এরপর কয়েকটি সভা-সমাবেশ হলেও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক ছিল না।
বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে সংগঠন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় দলটির হাইকমান্ড। এর প্রথম ধাপে পরিবর্তন আনা হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে। ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন আনা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, বরিশাল চট্টগ্রাম মহানগর এবং যুবদলের কমিটিতে। এরপর থেকেই নেতাকর্মীদের পদভারে সরব বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়। মহানগর বিএনপি অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের ভিড়ে সরগরম থাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবদলের কমিটি গঠনের পর কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলও বের করে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৫টি পদে কোথাও রদবদল, কোথাও আবার নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে নেতাদের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দলের ত্যাগী যোগ্য নেতা বলছেন দলটির নেতারা।
এদিকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট পরিবর্তনের কারণে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, ৎস্যজীবী দল এবং জাসাসের নেতাকর্মীদেরও উপস্থিতি বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব সংগঠনের নেতারা মনে করছেন যেকোনো সময় এগুলোরও পরিবর্তন আসবে। তাই আগামী নেতৃত্বে আসতে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন দলীয় কার্যালয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনই শত শত নেতাকর্মী ভিড় করছেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে। বিশেষ করে যুবদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী প্রতিদিনই ভিড় করছেন কার্যালয়ের সামনে। যুবদলের কার্যালয় বিএনপির অফিসের চারতলা হলেও নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা তিনতলায় দফতর এবং হলে রুমে অবস্থান নিচ্ছেন। কার্যালয়ের সামনেও কিছুক্ষণ পরপর নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
নতুন ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের কার্যালয় নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের বিপরীতে ভাসানী ভবনে হলেও এখন নিয়মিত তারাও আসছেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিংহভাগ নেতাকর্মী বিএনপির গুলশান কার্যালয়মুখী থাকলেও নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়ার পর থেকে তারা এখন নয়াপল্টনমুখী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকারও আজ নেই। কথায় কথায় গ্রেফতার, গুম-খুন। তারপরও নেতাকর্মীরা হতাশ নন। নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। অবশ্য বিএনপির তরুণ নির্ভর কমিটিকে অনেকে স্বাগত জানালেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতৃত্ব নির্বাচনে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
তারুণ্য নির্ভর কমিটি গঠনের দিকে জোর দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সিনিয়র নেতাদের মতামত নিয়ে এরই মধ্যে দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদলসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছেন। ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা কিছুটা হতাশ হলেও দলের যোগ্য তরুণ নেতৃত্বকে সামনে এনে একের পর এক কমিটি গঠনে তৃণমূলে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ঘোষিত কমিটিতে যাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে তারা আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় রাজপথে সরব ছিল, তৃণমূলেও রয়েছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তাণভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব সদস্য সচিব আমিনুল হক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এবং মহানগরকেন্দ্রিক রাজনীতিতে তারা অভিজ্ঞ। তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। ঘোষিত যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের মেধাবী ছাত্রনেতা বিগত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। নতুন আংশিক কমিটির অন্যরা হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল। যুবদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটিতে মূলত রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব বলেন, বিএনপি একটি বড় সংগঠন। আমরা সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাব। কাউকে ছুঁড়ে ফেলে দিবো না। দল হবে শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে। আমাদের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং জনগণের হারানো বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ