ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা * পানি সমস্যা ভারতের সঙ্গে, তারাই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক * রাজাকারের নাতিপুতি চাকরি পাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর * আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টারে চলে

জঙ্গিবাদ থামিয়েছি দুর্নীতিবাজদের ধরছি

  • আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৪ ১২:৫৯:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৪ ১২:৫৯:২৭ পূর্বাহ্ন
জঙ্গিবাদ থামিয়েছি দুর্নীতিবাজদের ধরছি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিএখন জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে, তাদের থামিয়েছিএখন আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছিদুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন হাত দিয়েছি, তখন আমি ছাড়বো নাআপন-পর জানি নাযেখানে হোক, যেই হোকআমি তাকে ধরবোতিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স যখন বলেছি, তখন এটা করেই ছাড়বোতিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছি বলেই, দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ছেঅনিয়ম-জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করছি আমরাএজন্য আমার ইমেজ নষ্ট হলে হোক, আমি তাদের ধরবোইএই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, এখানে কোনো দ্বিধা নেইগতকাল রোববার বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেনকোটা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা আইন মানে নাসংবিধান চেনে নাসরকার কিভাবে চলে, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেইপড়ালেখা করে জিপিএ পায়, কিন্তু এসব নিয়ে কোনো ধারণা রাখে না তারাআদালত তো রায় দিয়েছে, এখানে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেইএটি আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবেকোটা আন্দোলন এরপরেও চালিয়ে গেলে তারা চালাবেধ্বংসাত্মক কর্মসূচি করলে আইন তার নিজগতিতে বিষয়টিকে দেখবে
দুই বিলিয়ন ডলার দেবে চীন: বাংলাদেশকে চীন দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অনুদান-ঋণ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ চারটি ক্ষেত্রে সহায়তায় রাজি হয়েছেএই চারটি প্যাকেজের আওতায় চীন বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদানে সম্মত হয়েছেচীন সফর নিয়ে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, চীনের সঙ্গে ২১ টি সমঝোতা হয়েছেআরও ৭টি বিষয় এর বাহিরেও আছেআমি জানি না যারা একথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন তারা কি জেনে বলছেন, নাকি শুধু আমাকে হেয় করতে বলছেন, সেটা একটি প্রশ্নআমি এগুলোকে খুব গুরুত্ব দেই না১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে এ ধরনের নেগেটিভ কথা শুনে অভ্যস্তএতে আমার কিছু যায় আসে নাযখন ভারতে গেলাম তখন তারা বলে যে দেশ বেঁচে দিয়েছিএগুলো বলেই যাচ্ছেএটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতাতাদের প্রতি করুণাই হয় আমার
পানি সমস্যা ভারতের সঙ্গে, তারাই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীন তিস্তায় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুতকিন্তু পানি সমস্যা যেহেতু ভারতের সঙ্গে তাই তারাই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুকসেটাই ভালো হবে সবার জন্যএখানে কোনো রাখঢাকের বিষয় নেইসবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়তিনি বলেন, সুদমুক্ত ঋণসহ ৪টি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে চীনঅথচ মানসিকভাবে অসুস্থ একটি গোষ্ঠী চীন-ভারত সফর নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেতিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেনবাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা এবং তাদের সমস্যার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে এর সমাধানে আমি চীনের সহযোগিতা কামনা করিআঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পরিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করি
মানসিকভাবে অসুস্থরা গুজব ছড়াচ্ছে : শেখ হাসিনা বলেছেন, সুদমুক্ত ঋণসহ ৪টি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে চীনঅথচ মানসিকভাবে অসুস্থ একটি গোষ্ঠী চীন-ভারত সফর নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেতিনি বলেন, দেশে এত কাজ করার পরেও কেউ অন্ধ-বধির হলে কিছু বলার নেইকোটা প্রশ্নে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রীতিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা নয়, সহিংসতা করলে ছাড় নয়শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেনবাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা এবং তাদের সমস্যার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে এর সমাধানে আমি চীনের সহযোগিতা কামনা করিআঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পরিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করি
আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরকারের কিছুই করার নেই: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা ইস্যু নিয়ে আদালতের রায়ের পর সরকারের কিছু করার নেইতিনি বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলামএকবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করছিলআন্দোলন তো না সহিংসতা, ভাঙচুর ও  অগ্নিসংযোগ করেছিলতখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, সব কোটা বাদ দিয়ে দিলামতখনই বলেছিলাম যে, কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে? কোটা বাদ দেয়ার ফলে, ফরেন ক্যাডারে নারী মাত্র দুই জন, আর পুলিশে নারী গেছে মাত্র ৪ জনদেশের নারীরা কোনোদিন ডিসি-এসপি হবে- এটা তো তারা ভাবতেই পারতো নাপ্রশাসনেও প্রথম সচিব বানিয়েছি আমিযিনি বলেছিলেন, নারী কোটা চাই নাতারা কী চাকরি পেয়েছেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সব এলাকা বা জেলা তো একই রকম হয় না২৩ জেলায় পুলিশে কেউ জয়েন করেনিমেডিকেল সেক্টরেও, মুক্তিযোদ্ধারা খুঁত ধরে তখন আদালতে মামলা করলেনপ্রধানমন্ত্রী বললেন, মেধা কার কত সেটা পরীক্ষায় দেখা যায়সবসময় সব কোটা পূরণও হয় নামেধা থেকেও নিয়োগ দেয়া হয়
রাজাকারের নাতিপুতি চাকরি পাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে? তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি নাতিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেনতাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে নাশেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছেতাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে নাঅপরাধটা কী? নিজের জীবনবাজি রেখে, সংসার সব ফেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেদিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি ভেঙে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় এনেছেবিজয় এনে দিয়েছিল বলে সবাই উচ্চপদে আসীনতিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেতে হতোএখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫-২০ বছর আগের বাংলাদেশ সম্পর্কেও জানে নাঢাকা বিশ্বদ্যিালয় কি ছিলো? ৫-৭ বছর সেশন জটঅস্ত্রের ঝনঝনানিতিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে গায়ে জ্বর আসে! মুক্তিযোদ্ধার নাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কোটায়সে এখন বলে, কোটা লাগবে নাতোকেতো ভার্সিটি থেকে বের করে দেয়া উচিতলজ্জা থাকলে বের হয়ে তারপর বল কোটা লাগবে নাবিচিত্র এ দেশ! বিচিত্র মানসিকতাছয় ঋতুর দেশতো! আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মেধা কার কত সেটা পরীক্ষা হলে বোঝা যায়সব কোটা যে পূরণ হয় এমন নয়অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা অগ্রাধিকার পাবেকোটা আর মেধাতো এক জনিসি নয়মুক্তিযুদ্ধের সন্তান-নাতিপুতি মেধাবী না আর রাজাকারের সন্তান মেধাবী? তিনি বলেন, রাজাকাররা পরাজিত হয়েছিলোতাদের মেধাটা কোথায়?
আন্দোলনকারীরা আইন মানে না, সংবিধান চেনে না: শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা আইন মানে নাসংবিধান চেনে নাসরকার কীভাবে চলে, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেইপড়ালেখা করে জিপিএ পায়, কিন্তু এসব নিয়ে কোনো ধারণা রাখে না তারাআদালত তো রায় দিয়েছেন, এখানে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেইএটি আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবেকোটা আন্দোলন এরপরেও চালিয়ে গেলে তারা চালাবেধ্বংসাত্মক কর্মসূচি করলে আইন তার নিজগতিতে বিষয়টিকে দেখবেএ সময় তিনি বলেন, কোটায় ভর্তি হয়ে বিরোধিতাকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাকমুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজ গলাবাজি করা যাচ্ছেনয়তো পাকিস্তানিদের বুটের মার খেতে হতো বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীতিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করে এখন আন্দোলনে নামেনএসব দিল কোন সরকার? আন্দোলনকারীরা কী কখনো সংবিধান পড়ে দেখেছে? মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তারা পেল কোথায়? বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র মানুষের মানসিকতামুক্তিযোদ্ধার নাতনি কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে, এখন সে বলে কোটা চাই নাওই মেয়েকে বলবো- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি গিয়ে বসে থাকুককোনো দরকার নাই তার পড়াশোনারমেধা কার কত সেটা পরীক্ষায় দেখা যায়সবসময় সব কোটা পূরণও হয় নামেধাতালিকা থেকেও নিয়োগ দেয়া হয়কোটা আর মেধা তো এক জিনিস নাএটা একটা ট্যাকটিস বলেও উল্লেখ করেন তিনি
আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টারে চলে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় আমার বাসার পিয়ন ছিলসেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিকহেলিকপ্টার ছাড়া চলে নাপরে তাকে ধরা হয়েছেখোঁজ-খবর নেয়া হয়েছেপিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর অঢেল সম্পদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন ড্রাইভার কীভাবে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হলো, সেটা কীভাবে বলবো? তাদের অপকর্ম আমরা ধরছি বলেই তো এখন জানতে পারছেনএতদিন তো আপনারা জানতে পারেননিপ্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিএখন জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে, তাদের থামিয়েছিএখন আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছি, দুর্নীতবাজদের ধরছিএটা চলতে থাকবেশেখ হাসিনা বলেন, অনেকে আমাকে বলেন এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবেআমি সেটা মনে করি নাযারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে; তাদেরকে ধরতে হবেএক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে নাসরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে; এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না
যারা বানোয়াট কথা বলে, দেশবাসী যেন তাদের চিনে রাখে: চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফর প্রসঙ্গে ভারতীয় পত্রিকা ইকোনমিক টাইমসের আপসেট শেখ হাসিনা, রিটার্ন ফ্রম চায়নাশীর্ষক প্রতিবেদন এবং দেশে এ নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পৃথিবীর বহু দেশে যখন আমি যাই, আমি যত তাড়াতাড়ি পারি দেশে চলে আসিকাজ শেষ হয়ে গেলে আমার তো শপিংয়েও যাওয়ার প্রয়োজন নাই, দেখারও জায়গা নাই, বেড়ানোরও কিছু নাইবহুবার আমি এভাবে এসেছিএগুলোকে এত রং-চং মাখিয়ে এতকিছু বলার তো কিছু নাইআমি শুধু বলবো যারা এসব বানোয়াট কথা বলে, তাদের যেন দেশবাসী চিনে রাখেইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন ও সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের গণমাধ্যমের কথা শুনে আমাদের এখানে যারা কথা বলেন, তারাই তো দুদিন আগে বলেছে ভারতের কাছে আমরা সব বিক্রি করে দিয়ে এসেছিঅসম চুক্তি করে এসেছি, দেশ বিক্রির চুক্তি করে এসেছি, তাদের কথা আসলে কোনটা ঠিক? শেখ হাসিনা বলেন, সফরে আমার মেয়েকেও তাদের (চীনের) হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে দাওয়াত দিয়েছিলসে অনুযায়ী সে এসেছিলসেখানে তার সকাল বেলা যাওয়ার কথা, কিন্তু তার প্রচণ্ড জ্বর থাকায় আমার সঙ্গে যেতে পারেনি, এটা বাস্তবতাআমি একটা মা, ওই অবস্থায় রেখেই আমাকে চলে যেতে হয়সব কার্যক্রম শেষে আমাদের ১১ তারিখ বিকেলে আসার কথা, সেখানে আমরা সকালে চলে এসেছিমাত্র ছয় ঘণ্টার পার্থক্যএই ছয় ঘণ্টার মধ্যেই এত বড় তোলপাড় হয়ে যাবে, এটা তো বুঝতে পারিনি
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ