ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের ২৩৮২ পদে দ্রুত নিয়োগে পিএসসিতে চিঠি ভুয়া র‌্যাবকে ধরল আসল র‌্যাব, উদ্ধার ২ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি গ্রেফতার টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো গোপালগঞ্জের নাইম 

  • আপলোড সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো গোপালগঞ্জের নাইম  পরীক্ষা দিলো
বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে ধর্ম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নাইম হোসেন হৃদয়। নাইম এ বছর মুকসুদপুর উপজেলার হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিল আমি বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে। কিন্তু বাবা দেখে যেতে পারলেন না আমার ভবিষ্যৎ। তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। 
গত মঙ্গলবার সরকারি মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্রে ধর্ম পরীক্ষা দেয় ওই শিক্ষার্থী। 
মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাইম হোসেন হৃদয় মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মোল্যার ছেলে। নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, আমার বাবা মনিরুজ্জামান মোল্যা গত সোমবার রাতে স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। কিন্তু আজ আমার ধর্ম পরীক্ষা ছিল। আমার বাবার মরদেহ দাফন করা হবে আজ। আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষা দিলাম, এখন বাড়িতে গিয়ে বাবার মরদেহ দাফন করবো। এ শিক্ষার্থীর চাচা বাবুল মোল্যা জানান, আমার ভাই মনিরুজ্জামান গত রাতে স্ট্রোক করে মারা যান। ভাতিজার আজ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এখন আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দাফন করা হবে। 
কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, নাইম হোসেনের বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তাকে আলাদা পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। সে জানিয়েছিল সবার সাথে বসেই পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার সময় সে স্বাভাবিক ছিল। তার পরীক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকসুদপুর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, নাইম হোসেন হৃদয় মোল্যার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে দেয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।  
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স