ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার

২১ মহিষের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

  • আপলোড সময় : ১৭-০৭-২০২৪ ০৩:৪২:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৭-২০২৪ ০৩:৪২:০৪ অপরাহ্ন
২১ মহিষের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে দেশের একমাত্র্র সরকারি মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে তিন মাসে ২১টি মহিষের বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছেআসলেই এত মহিষের মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছেসঠিক তদন্তের মাধ্যমে মূল রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাজানা যায়, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সুকদ্বারা এলাকায় অবস্থিত মহিষের প্রজনন ও জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ খামারে বর্তমানে ৪৭০টি মহিষ রয়েছেদুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন দক্ষতা ও প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন মহিষের জাত উন্নয়ন এবং মহিষের সংখ্যা বাড়াতে ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিন দফায় ভারত থেকে ১৪৯টি পূর্ণ বয়স্ক মহিষ ও ১২০টি বাচ্চা মহিষ আনা হয়পরে ওই বছরের ডিসেম্বর, চলতি বছরের বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২১টি বাচ্চা মহিষ মারা যায় খামারেএর মধ্যে ১০টি ভারত থেকে আনা ও ১১টি খামারের বাচ্চা মহিষতিন মাসে ২১টি বাচ্চা মহিষের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মনে হয়নি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয়দের কাছেফলে কেন মহিষের বাচ্চাগুলো মারা যায়, সে বিষয়ে জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালককে চিঠি দেয়, চিঠির উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেকুজ্জামানতদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান, খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম ও ফকিরহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহিদুর রহমানগত সোমবার সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসানের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা খামার পরিদর্শন করেনখামারের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছ থেকে মহিষের বাচ্চাগুলোর মৃত্যু সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য নেনতারা মহিষগুলো মাটি চাপা দেওয়ার স্থান খুঁড়ে মহিষের বাচ্চার হাড়গোড় দেখতে পানএদিকে স্থানীয়রা বলছেন, এতগুলো মহিষের বাচ্চা হয়তো মারা যায়নিঅন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারেতদন্ত করে দেখা উচিত বিষয়টি কীস্থানীয় বাসিন্দা অলীপ দাস বলেন, মহিষের বাচ্চা হয়তো দু-একটি মারা যেতে পারেএত বাচ্চা মারা যেতে পারে নাহয়তো বাচ্চা কোথাও পাঠানো হয়েছে, নাহলে ভারত থেকে যে মহিষ এসেছে, সেখান থেকে কম বাচ্চা আনা হয়েছেপুরো বিষয়টি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বের করা প্রয়োজনঅ্যাডভোকেট কাজী ইয়াছিন আলী বলেন, মহিষের বাচ্চাগুলো হয়তো কোনোভাবে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে, যেভাবে হোক অন্য কোথাও চলে গেছেশক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট হবেখামারের মেশিন অপারেটর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে যে মহিষগুলোর বাচ্চা খুব ছোট ছিল, এক সপ্তাহ-দুই সপ্তাহ বয়সবাচ্চাগুলো খুব দুর্বল হয়ে গেছেগাড়িতেই তিন-চারটি মারা গেছেচিকিৎসা দেওয়ার পরও কিছু মারা গেছেসেগুলো আমরা মাটি চাপা দিয়েছিবাগেরহাট মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডা. আহসান উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, ভারত থেকে মহিষগুলো দীর্ঘ সড়ক পথে খামারে আনসে সাতদিন লেগেছেএ কারণে কিছু মহিষের বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে ও শীতের প্রকোপে মহিষের বাচ্চাগুলো মারা যায়এখানে কোনো অবহেলা হয়নিতদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, খামারের ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া মৃত মহিষের বেশ কয়েকটি দেহাবশেষ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছেখামারে কর্মচারীদের কাছ থেকে মহিষের মৃত্যু সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছেমৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য