ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির

উপেক্ষা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন

  • আপলোড সময় : ৩০-০৭-২০২৪ ১০:০১:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৭-২০২৪ ১০:০১:০০ অপরাহ্ন
উপেক্ষা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন

দেশে শারীরিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অনেক কারণেই মানসিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু মানসিক সমস্যাকে স্বীকার করা এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে চরম অনীহা। এটি হয় মূলত অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে। এর ফলে রোগের প্রকোপ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন চিকিৎসকের কাছে গেলেও আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এসব রোগী তখন পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের দেশে মানসিক রোগের চিকিৎসার সুযোগও অনেক কম। হাসপাতালের সংখ্যা, শয্যাসংখ্যা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সেবা প্রদানে দক্ষ কর্মীর সংখ্যাও অত্যন্ত কম। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল পরিকল্পনা ২০২০-৩০-এ বলা হয়েছে, দেশে প্রায় তিন কোটি মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এদের ৯৪ শতাংশই থেকে যায় চিকিৎসার বাইরে। সরকারিভাবে রয়েছে ২০০ শয্যার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ৫০০ শয্যার পাবনা মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল, ৪০ শয্যার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এই সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। বেসরকারিভাবে কিছু উদ্যোগ থাকলেও সেগুলোর মান নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। চিকিৎসার খরচও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। নির্যাতন করে রোগীকে মেরে ফেলার অভিযোগও রয়েছে।
এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দও অত্যন্ত কম। জানা যায়, স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৫ শতাংশ বরাদ্দ পাওয়া যায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য। চিকিৎসকরা সাধারণত মানসিক সমস্যাকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন-গুরুতর ও সাধারণ সমস্যা। গুরুতর সমস্যার মধ্যে রয়েছে সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিস-অর্ডার, স্মৃতিভ্রংশতা, আলঝেইমারস ইত্যাদি। আর সাধারণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, শুচিবায়ু বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিস-অর্ডার, ফোবিয়া বা অহেতুক ভীতি, বিষণ্নতা ইত্যাদি। সব ধরনের সমস্যায়ই চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। আর গুরুতর সমস্যাগুলোর চিকিৎসা না নিলে রোগী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা নিজের জীবন পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ১ শতাংশ মানুষ গুরুতর মানসিক সমস্যা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। এতে রোগীর মধ্যে ভুল ধারণা, অবাস্তব চিন্তা-ভাবনা, অকারণ সন্দেহ, বিভ্রান্তি, বিড়ম্বনা ইত্যাদি দেখা যায়। রোগীর ডিল্যুশন বা হেলুসিনেশনও হতে পারে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত ১৭ লাখের এই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এর ১ শতাংশও চিকিৎসকের কাছে যায় না কিংবা যখন যায় তখন আর করার প্রায় কিছুই থাকে না।
শারীরিক সুস্থতার জন্যও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত জরুরি। শরীর ও মন একটিকে ছাড়া আরেকটির সুস্থতা সম্ভব নয়। জনস্বাস্থ্যের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসচেতনা ও অবহেলা কাম্য নয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য