একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার দেশকে পিছিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে, ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, অনেকগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে। আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি এই সময় এমন অবস্থা সৃষ্টি হবে, আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে এতগুলো প্রাণ ঝরে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারের ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। সব দাবি তো মানাই হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করলো সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না, আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি। তিনি বলেন, বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা। আজকে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। তিনি বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা-তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো, সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
কোটা আন্দোলন ঘিরে ধ্বংসাত্মক কাজ করে দেশের অর্থনীতি ও ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছি, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে কারা, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন: স্থাপনা ধ্বংস হলে আবার তৈরি করা যাবে, কিন্তু যেসব প্রাণ ঝরে গেছে তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন সহিংস ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এবং কেনো করেছে তার আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বজনহারাদের সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করা হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এসব ঘটনার বিচারের ভার দেশের মানুষেরও ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না: প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা-তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশটাকে উন্নত করতে, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি। তিনি বলেন, প্রতিটি মৃত্যর ঘটনা তদন্ত হবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জাতীয় মৎস্য পদক পেলেন ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান: মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ। এর আগে ৩০ জুলাই সকালে মৎস্য অধিদফতরের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ শুরু হয়। প্রতি বছরের ন্যায় ৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই মৎস্য সপ্তাহ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী * একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার দেশকে পিছিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে
কোনোদিন ভাবিনি এই সময় এমন অবস্থা সৃষ্টি হবে
- আপলোড সময় : ০১-০৮-২০২৪ ১২:০২:২৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০৮-২০২৪ ১২:০২:২৩ পূর্বাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ