ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সপ্তাহের দুইদিন ঢাকায় বিমানে যাতায়াত করেন। একবার ঢাকায় বিমানে যেতে ৫ হাজার টাকা লাগে। সেখানে তিনি প্রতি মাসে আটবার ঢাকায় যাতায়ত করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে তার বিমান ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের অবৈধ উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন বলে অফিসের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রমতে, যশোর  জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব অবৈধভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। অবৈধ আয়ের খাতগুলো হচ্ছে, প্রতিদিন যশোর সদরসহ ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার দলিল  সম্পাদিত হয়। এর প্রতিটি দলিল থেকে ১শ’ টাকা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২শ’ টাকা হারে জেলা রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ হাজার দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যদি ১শ’ টাকা হারেও ঘুষ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন এ খাত থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। এছাড়া যশোরের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কাছ  থেকে প্রতি মাসে চুক্তি মাফিক তিনি একটি বড় অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন। যশোর জেলায় ১২২ জন কাজী রয়েছেন যারা প্রতি মাসে অফিসের বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি ধার্য রেটে ঘুষ দিয়ে থাকেন। যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুম থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার দলিলের নকল সরবরাহ করা হয়। এখাত থেকেও বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার উৎকোচ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অডিট ও রদবদলের ক্ষেত্রেও জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে প্রতি মাসে তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন আছে তা অনুমান করা গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ