ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সপ্তাহের দুইদিন ঢাকায় বিমানে যাতায়াত করেন। একবার ঢাকায় বিমানে যেতে ৫ হাজার টাকা লাগে। সেখানে তিনি প্রতি মাসে আটবার ঢাকায় যাতায়ত করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে তার বিমান ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের অবৈধ উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন বলে অফিসের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রমতে, যশোর  জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব অবৈধভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। অবৈধ আয়ের খাতগুলো হচ্ছে, প্রতিদিন যশোর সদরসহ ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার দলিল  সম্পাদিত হয়। এর প্রতিটি দলিল থেকে ১শ’ টাকা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২শ’ টাকা হারে জেলা রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ হাজার দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যদি ১শ’ টাকা হারেও ঘুষ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন এ খাত থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। এছাড়া যশোরের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কাছ  থেকে প্রতি মাসে চুক্তি মাফিক তিনি একটি বড় অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন। যশোর জেলায় ১২২ জন কাজী রয়েছেন যারা প্রতি মাসে অফিসের বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি ধার্য রেটে ঘুষ দিয়ে থাকেন। যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুম থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার দলিলের নকল সরবরাহ করা হয়। এখাত থেকেও বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার উৎকোচ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অডিট ও রদবদলের ক্ষেত্রেও জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে প্রতি মাসে তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন আছে তা অনুমান করা গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য