ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পরিবর্তন আসছে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায় সবাইকে ছাতার নিচে আনতে ভিত গড়ছে ঐকমত্য কমিশন জুনে ৩২৪টি রাজনৈতিক মিথ্যা তথ্য শনাক্ত : সিজিএস অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে-দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গাজীপুরে আসন বাড়ছে কমছে বাগেরহাটে : ইসি ৩৯টি সংসদীয় আসনে আসছে পরিবর্তন : ইসি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে ১৫ সদস্যের কমিটি শান্তি মিশনে মানের দিক থেকে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর আঘাত হেনেছে সুনামি কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড জুলাইয়ের আহত-নিহতদের তালিকায় অসঙ্গতি পাওয়া গেছে-মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা সবুজায়ন স্বপ্নে খরা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৬ সড়কে আলু ফেলে নওগাঁর কৃষকদের মানববন্ধন রাজধানীতে মাসে ২০টিরও বেশি হত্যা ও ৫টি ডাকাতি হচ্ছে রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক-এফডিআর নথি উদ্ধার এনসিপির সমাবেশে হামলায় আরেক মামলা আসামি সাড়ে ৫ হাজার তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে হচ্ছে কমিটি : ধর্ম উপদেষ্টা ভয়াবহতার মূলে এডিস মশার অস্বাভাবিক প্রজনন
* ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসও ২০২২ সাল থেকে পুনর্গঠিত হয় * রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে * যোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়ছে রোহিঙ্গা যোদ্ধা ও সেনাবাহিনী

  • আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়ছে রোহিঙ্গা যোদ্ধা ও সেনাবাহিনী
 আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এক ধরনের ‘সমঝোতা’ হয়েছে, যাতে আমরা একে অপরের ওপর হামলা না করি। কারণ আমরা উভয়েই আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করছি

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিদ্রোহকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখেছে। তবে, রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করায়, এখন জান্তা এবং কিছু রোহিঙ্গা যোদ্ধা একই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
একসময় অসম্ভব মনে হলেও এখন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এক ধরনের ‘সমঝোতা’ হয়েছে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হামলা না করে। কারণ তারা উভয়েই আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
আরএসওর রাজনৈতিক বিষয়ক প্রধান কো কো লিন বলেন, জান্তা আমাদের আক্রমণ করেনি, আর আমরাও তাদের আক্রমণ করিনি।
তিনি আরও বলেন, যখন তারা আমাদের আক্রমণ করছে না, তখন কেনো আমরা একই সময়ে দুটি লক্ষ্যের দিকে আঘাত করবো এটি স্বাভাবিকভাবেই একটি সমঝোতায় পরিণত হয়েছে। কো কো লিন উল্লেখ করেন, এই সমঝোতা আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি নয় এবং জান্তার সঙ্গে তাদের কোনো যৌথ অভিযান চলছে না। তিনি বলেন, আমাদের যোদ্ধারা নিজেদের ইউনিফর্ম এবং নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মন্তব্য জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি।
কো কো লিন জানান, এ বছরের শুরুর দিকে আরএসও যোদ্ধারা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহরে প্রবেশ করে, যেখানে জান্তা এবং আরএসও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তবে, তিনি সমঝোতার মেয়াদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি। আরএসওর বক্তব্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
কো কো লিন আরও অভিযোগ করেন, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের বারবার রোহিঙ্গাদের আক্রমণ না করতে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা আমাদের উপেক্ষা করেছে।
আরাকান আর্মিকে সমর্থনকারী রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা রয়েছে। কিছু রোহিঙ্গাকে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরএসও ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল। তবে, সংগঠনটি ২০২২ সাল থেকে পুনর্গঠিত হয়েছে এবং এখন এর যোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে। যদিও এদের সবাই সশস্ত্র নয় বলে জানিয়েছেন কো কো লিন।
এ বছরের শুরুতে আরএসও প্রায় এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে মংডুতে প্রবেশ করে রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য। ওই সময় আরাকান আর্মি সেখান থেকে সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তবে, আগস্টের শুরুতে মংডুতে একটি প্রাণঘাতী হামলার পর তারা এলাকা থেকে সরে যায়। ওই হামলায় প্রায় ১৮০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল।
কো কো লিন জানান, তারা আরও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি এড়াতে এলাকা থেকে সরে এসেছে। তবে ভবিষ্যতে আবারও লড়াইয়ে নামার পরিকল্পনা রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স