ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির
* ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসও ২০২২ সাল থেকে পুনর্গঠিত হয় * রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে * যোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়ছে রোহিঙ্গা যোদ্ধা ও সেনাবাহিনী

  • আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৪ ০১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়ছে রোহিঙ্গা যোদ্ধা ও সেনাবাহিনী
 আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এক ধরনের ‘সমঝোতা’ হয়েছে, যাতে আমরা একে অপরের ওপর হামলা না করি। কারণ আমরা উভয়েই আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করছি

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিদ্রোহকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখেছে। তবে, রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করায়, এখন জান্তা এবং কিছু রোহিঙ্গা যোদ্ধা একই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
একসময় অসম্ভব মনে হলেও এখন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এক ধরনের ‘সমঝোতা’ হয়েছে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হামলা না করে। কারণ তারা উভয়েই আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
আরএসওর রাজনৈতিক বিষয়ক প্রধান কো কো লিন বলেন, জান্তা আমাদের আক্রমণ করেনি, আর আমরাও তাদের আক্রমণ করিনি।
তিনি আরও বলেন, যখন তারা আমাদের আক্রমণ করছে না, তখন কেনো আমরা একই সময়ে দুটি লক্ষ্যের দিকে আঘাত করবো এটি স্বাভাবিকভাবেই একটি সমঝোতায় পরিণত হয়েছে। কো কো লিন উল্লেখ করেন, এই সমঝোতা আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি নয় এবং জান্তার সঙ্গে তাদের কোনো যৌথ অভিযান চলছে না। তিনি বলেন, আমাদের যোদ্ধারা নিজেদের ইউনিফর্ম এবং নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মন্তব্য জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি।
কো কো লিন জানান, এ বছরের শুরুর দিকে আরএসও যোদ্ধারা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহরে প্রবেশ করে, যেখানে জান্তা এবং আরএসও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তবে, তিনি সমঝোতার মেয়াদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি। আরএসওর বক্তব্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
কো কো লিন আরও অভিযোগ করেন, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের বারবার রোহিঙ্গাদের আক্রমণ না করতে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা আমাদের উপেক্ষা করেছে।
আরাকান আর্মিকে সমর্থনকারী রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা রয়েছে। কিছু রোহিঙ্গাকে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরএসও ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল। তবে, সংগঠনটি ২০২২ সাল থেকে পুনর্গঠিত হয়েছে এবং এখন এর যোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে। যদিও এদের সবাই সশস্ত্র নয় বলে জানিয়েছেন কো কো লিন।
এ বছরের শুরুতে আরএসও প্রায় এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে মংডুতে প্রবেশ করে রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য। ওই সময় আরাকান আর্মি সেখান থেকে সামরিক বাহিনীকে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তবে, আগস্টের শুরুতে মংডুতে একটি প্রাণঘাতী হামলার পর তারা এলাকা থেকে সরে যায়। ওই হামলায় প্রায় ১৮০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল।
কো কো লিন জানান, তারা আরও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি এড়াতে এলাকা থেকে সরে এসেছে। তবে ভবিষ্যতে আবারও লড়াইয়ে নামার পরিকল্পনা রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স