ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

পাহাড়ে চাষ হওয়া কাসাভা বা কাঠ আলু সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ে চাষ হওয়া কাসাভা বা কাঠ আলু সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পাহাড়ে উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ ফসল কাসাভা চাষ ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে এ কাসাভা চাষ পার্বত্য অঞ্চলের বন ভূমিতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে, বিরূপ প্রভাব পড়ছে পাহাড় ও পরিবেশে। এতে করে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য, কমছে মাটির উর্বরতা, নীচে নামছে পানির স্তর।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম কাসাভা হলেও খাগড়াছড়িতে এটি কাঠ আলু নামে পরিচিত। সমতল ভূমির চেয়ে পাহাড়ে এটির ফলন বেশি হয়। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ এই কাসাভা থেকে উন্নতমানের সাদা আটা পাওয়া যায়। যা দিয়ে রুটি, বিস্কুট, চিপস, গুক্লোজসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়। এ ছাড়া শাগু, বিয়ার, পোল্ট্রি ফিড, বস্ত্র ও কাগজ তৈরির শিল্পে প্রচুর কাসাভার ব্যবহার হয়। আফ্রিকা মহাদেশে কাসাভার চাষ বেশি হয়। সেখানকার মানুষ কাসাভা খেয়ে জীবন ধারণ করেন। বাংলাদেশে এটি অনেকের কাছে শিমুল আলু নামে পরিচিত। পাহাড়ি অঞ্চলে অনেকটা অবহেলায় চাষ হওয়া এ উদ্ভিদটি এখন সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাহাড়ে সম্প্রসারিত দক্ষিণ আফ্রিকার ফসল কাসাভা চাষে মূল অর্থ যোগানদাতা প্রাণ আর এফ এল গ্রুপের প্রাণ এগ্রো বিসনেস লিমিটেড ও রহমান কেমিক্যালস লিমিটেড সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার প্রলোভনে আংশিক সহায়তাদানের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কাসাভা চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে গরিব লোকদের। বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও প্রতিযোগিতা না থাকায় কাসাভার দাম বাড়ছে না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই কোম্পানির মনগড়া মূল্যে কাসাভা বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। কোম্পানি দুটি প্রতি মে.টন কাসাভার মূল্য দেয় মাত্র ৮০০০ টাকা। এতে করে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রায় এক হাজার একর জমিতে এ বছর কাসাভার চাষ হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়া এলাকার কৃষকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে কাসাভা রোপণ করা হয়। এটি পাঁচ থেকে আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতি একর জমিতে ৬-৭ মে. টন কাসাভা পান কৃষকরা।
সূত্র বলছে, এই শিমুল আলু (কাসাভা) চাষের জন্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, গুইমারা, মানিকছড়ি উপজেলার বেশি বনভূমি উজাড় করে হচ্ছে এর চাষ। যা মাটির টপ চয়েল উৎপাটন, ভূমি ধ্বস, মাটি ক্ষয়ের জন্য দায়ী। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখা মিলতো হরিণ, বনমোরগ, খোরগোশ, গুইসাপ, বানর, লজ্জাবতী বানর, গন্ধগোকুল, বন বিড়ালসহ বিভিন্ন পাখি ও সাপের। ছিলো নিরাপদ আবাসস্থলও। যা বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। আর পাহাড়ের উঁচু-নিচু বনভূমিতে কচি-কাঁচা গাছ কাটা থেকে শুরু করে বনভূমি ধ্বংসের কারণে এসব বন্যপ্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, কাসাভা চাষের বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়েছে জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, জেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সভায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ে কাসাভা চাষ, প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ চাষে খারাপ প্রভাব, অনুমোদন, ভালো দিক খারাপ দিক তদন্ত করে জানালে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য