ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’
মঙ্গলবার নতুন করে রাজধানী ইমফলে ছাত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

মণিপুরে কারফিউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেট বন্ধ

  • আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৫১:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৪ ১২:৫১:১০ পূর্বাহ্ন
মণিপুরে কারফিউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেট বন্ধ
ভারতের মণিপুর রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সহিংসতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের কয়েকটি জেলায় অনিদৃষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি ও পাঁচ জেলায় পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছে সরকার।
গতকাল বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স, ডয়চে ভ্যালে ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার নতুন করে রাজধানী ইমফলে ছাত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এই উদ্যোগ।
সরকারি আদেশে গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজ বন্ধ থাকবে।
ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে মঙ্গলবার পরপর দুইটি নোটিস জারি করে মণিপুরের রাজ্য সরকার।
প্রথম নোটিসে পুরো রাজ্যেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, ইমফল পশ্চিম, ইমফল পূর্ব, থউবাল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলায় সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা আগামী পাঁচদিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। সহিংসতা বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রশাসনের দাবি, একটি মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রচার করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। এটা ঠেকাতেই ইন্টারনেট বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর আগেও বেশ কয়েকবার, একই কায়দায় মণিপুরে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। মাঝে কিছুদিন উত্তাপ কমলেও এ মাসের শুরু থেকে নতুন করে এ অঞ্চলে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে হামলা, পাল্টা-হামলা শুরু হয়। পুলিশের মতে, কুকি জঙ্গিরা ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
তবে কুকি সম্প্রদায় এই দাবি অস্বীকার করেছে।
গত সোমবার ড্রোন হামলার প্রতিবাদে হাজারো মেইতেই শিক্ষার্থী সড়কে নেমে আসে। রাজ্যের গভর্নরের বাসার মূল ফটকের সামনে এসে পাথর ও প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাজ্যের নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করেন বিক্ষভকারীরা।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা টিয়ার গ্যাস শেল ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে ৪৫ জন বিক্ষোভকারী সামান্য আহত হয়েছেন বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ইমফলে মেইতেই ছাত্ররা বড় আকারে বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং মিছিল করে।
রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল সেই মিছিল। তাদের দাবি, পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ও রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে।
ইমফলে কংগ্রেস ভবনের সামনে সেই মিছিলকে আটকে দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। মিছিলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি হাজারো নারীও যোগ দিয়েছিলেন। হাতে মশাল নিয়ে মিছিল করছিলেন তারা। নিরাপত্তাকর্মীর বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘাত হয়।
এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর পরই দ্রুত ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত সপ্তাহে আসাম-মণিপুর সীমান্তের জিরিবামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা যায়। কুকিদের একটি গোষ্ঠী মেইতেই এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে-এমন অভিযোগের জেরে এই পরিস্থিতির উদ্রেক হয়। অভিযোগ মতে, হাতে তৈরি রকেট হামলাও চালানো হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত শনিবার মণিপুরের জিরিবাম জেলায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্দুক হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এক নিরাপত্তা সূত্র জানান, এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার সন্দেহভাজন জঙ্গিরা মনিপুরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবাম কৈরেংয়ের বাসভবনে রকেট হামলা চালালে একজন নিহত ও আরও ছয়জন আহত হন।
জবাবে নিরাপত্তা বাহিনী পার্শ্ববর্তী জেলা চুরাচাঁদপুরে তিনটি বাংকার ধ্বংস করে। সেখানে সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এক বয়স্ক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। এরপরই নতুন করে উত্তাপ ছড়ায় গোটা মণিপুর জুড়ে।
বস্তুত, গত একবছর ধরে কার্যত দুইভাগে ভাগ হয়ে আছে মণিপুর। পাহাড় অঞ্চল কুকিদের দখলে, উপত্যকা মেইতেইদের দখলে। দুই পক্ষের সংঘাতের জেরে হাজারো মানুষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তারা মণিপুরের ভেতরে ও আশপাশের রাজ্যগুলোতে বেশ কয়েকটি আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছেন।
এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২২৫ জন নিহত ও ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে নতুন করে এই সহিংসতা চিন্তায় ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সরকারকে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ