ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ
হাসপাতাল ছাড়ছেন রোগীরা

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ

  • আপলোড সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ১২:৫৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৯-২০২৪ ১২:৫৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ঘোষণা করা কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা। ডাক্তার দেখাতে না পেরে অনেক রোগীই ফিরে যাচ্ছেন। ভিড় বাড়ছে শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে।
গত বুধবার করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিউ) এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একজন চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে সকাল থেকে হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা, ঘোষণা দিয়েছেন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির। সেদিন সেনাবাহিনীর একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার পর জরুরি বিভাগ সচল করা হলেও অন্যান্য বিভাগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
এই হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় আট শতাধিক রোগী ভর্তি ছিলেন। শাটডাউনের পর তাদের চিকিৎসা সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ভর্তি থাকা অধিকাংশ রোগীই ইতোমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এরকম একজন রোগীর স্বজন নাসির হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর হৃদরোগের চিকিৎসা চলছে। চারদিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তারপর থেকে আশানুরূপ সেবা পাচ্ছিলাম না। কাল থেকে পুরোপুরি সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজকে স্ত্রীকে নিয়ে অন্য হাসপাতালের খোঁজে রওনা দিচ্ছি।
গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকা আজিজ নামের একজন রোগী মারা যান। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তার স্বজনরা সজীব কাজী নামে এক চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেন। সেই সময় হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউসহ বিভিন্ন এলাকা ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ অবস্থান নেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। আজ দুপুরেও চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে দোষীদের দ্রুত বিচার ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক শাহ তালাল মাহমুদ দিহান বলেন, আমাদের একজন চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা করেনি। আজই মামলা করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে ফিরে যাব না।
হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডা. মং টিং ইয়েও শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং পরে সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভাঙচুরের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করে আজই মামলা করবেন। এ ছাড়া চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে জরুরি বিভাগ ছাড়া কোথাও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না।
হামলার ঘটনায় চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তামিম মোহাম্মদ রেজা (২২) ও তাহসিন মোহাম্মদ রেজা (২২), কালুর দোকান এলাকার সাইফুল আজিমের ছেলে সাইদুল লতিফ সাকিব (২৪) ও টেকপাড়া এলাকার আবু বকরের ছেলে সাইফ বিন সম্রাট। চিকিৎসকের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে বুধবার রাতে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য