ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারি জলাশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জলাশয় হাতখোপার বিল।
প্রতিবছর ইজারা দিয়ে বিলটি থেকে খাস আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিলটি এক প্রভাবশালী নেতা সাব ইজারার নামে বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে জটিলতা। মামলার নামে বিলটি বে-দখলে রাখার কারণে স্থানীয় প্রশাসন খাস আদায় করতে পারছে না।
এতে রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। জানা যায়, প্রায় ২৫ একর খাস জমির জলাশয় টি সর্বশেষ ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ছয় বছরের জন্য হাতখোপা বিলটি ইজারা নেয় তারাগঞ্জ উপজেলার নারায়ঞ্জন জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আরো বেশি অর্থের বিনিময়ে সাব ইজারা দেয় নজরুল ইসলাম নামক রংপুরের এক প্রভাবশালী নেতাকে। ইজারা নেওয়ার পর এক বছরের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি ভোগ দখল করেন ওই ইজারাদার। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ওই মৎস্যজীবী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের আঁতাত হয়। তারই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমিতির সভাপতি ইজারা প্রত্যাহার চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খাস আদায়ের নির্দেশনা বাতিল ও তাদের ইজারা পুনঃ বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার শুনানির পর উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন। আদেশের বলে প্রথমে ৩ মাস ভোগদখল করেন। এরপর একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি দখলে রেখেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলটির খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিলটিকে ইজারাদারের নিয়োগকৃত ছয় জন পাহারাদার দিবারাত্রি পাহারায় নিয়োজিত আছেন। তাদের ভয়ে বিলের আশপাশে ঘেঁসতে পারে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। জটিলতা কাটিয়ে বিলের খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বিলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য