ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে

  • আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৪ ১২:২০:১০ পূর্বাহ্ন
তারাগঞ্জের হাতখোপা বিল প্রভাবশালীদের দখলে
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারি জলাশয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জলাশয় হাতখোপার বিল।
প্রতিবছর ইজারা দিয়ে বিলটি থেকে খাস আদায় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিলটি এক প্রভাবশালী নেতা সাব ইজারার নামে বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে জটিলতা। মামলার নামে বিলটি বে-দখলে রাখার কারণে স্থানীয় প্রশাসন খাস আদায় করতে পারছে না।
এতে রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। জানা যায়, প্রায় ২৫ একর খাস জমির জলাশয় টি সর্বশেষ ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ছয় বছরের জন্য হাতখোপা বিলটি ইজারা নেয় তারাগঞ্জ উপজেলার নারায়ঞ্জন জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলেপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আরো বেশি অর্থের বিনিময়ে সাব ইজারা দেয় নজরুল ইসলাম নামক রংপুরের এক প্রভাবশালী নেতাকে। ইজারা নেওয়ার পর এক বছরের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি ভোগ দখল করেন ওই ইজারাদার। এরপর সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে ওই মৎস্যজীবী সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের আঁতাত হয়। তারই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমিতির সভাপতি ইজারা প্রত্যাহার চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে খাস আদায়ের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা প্রকাশ হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খাস আদায়ের নির্দেশনা বাতিল ও তাদের ইজারা পুনঃ বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার শুনানির পর উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন। আদেশের বলে প্রথমে ৩ মাস ভোগদখল করেন। এরপর একাধিকবার আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিলটি দখলে রেখেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলটির খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বিলটিকে ইজারাদারের নিয়োগকৃত ছয় জন পাহারাদার দিবারাত্রি পাহারায় নিয়োজিত আছেন। তাদের ভয়ে বিলের আশপাশে ঘেঁসতে পারে না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। জটিলতা কাটিয়ে বিলের খাস আদায়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বিলটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য