ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
গবেষণা প্রতিবেদন

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : ২৫ বছরে ২০ কোটি মৃত্যু

  • আপলোড সময় : ২১-০৯-২০২৪ ১২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৯-২০২৪ ১২:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : ২৫ বছরে ২০ কোটি মৃত্যু
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু প্রচলিত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার কারণে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থার কারণে পরোক্ষভাবে আরও ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন জনবহুল দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। গত সোমবার চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ল্যানসেটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিশ্বজুড়ে বছরে সরাসরি ১৯ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার। এএমআর বিশ্বজুড়ে বছরে ৮২ লাখ মানুষের মৃত্যুতে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবে। আগে সংখ্যাটি ছিল ৪৭ লাখ ১০ হাজার। বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করা জীবাণুগুলো (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গি ও বিভিন্ন পরজীবী) প্রচলিত ওষুধগুলোকে রেজিস্ট বা প্রতিরোধ করা শিখে গেলে তাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। নতুন ধরনের এই রোগ প্রতিরোধী জীবাণুগুলোকে ইংরেজিতে অনেক সময় বলা হয় ‘সুপারবাগ’।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন সুপারবাগের কারণে রোগের চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা। নির্বিচার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এর একটি বড় কারণ।
ল্যানসেটের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সামনে এর হার আরও বাড়বে।
ল্যানসেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করেছে গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (জিআরএএম) প্রজেক্ট। গবেষণায় কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধজনিত মৃত্যু
কমবে। গত ৩০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, নবজাতক ও শিশুদের জন্য টিকা এবং চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এতে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, সুপারবাগের কারণে শিশুদের মৃত্যু কমলেও চিকিৎসা জটিল হচ্ছে। কোনো সংক্রমণের কারণে শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলা কষ্টসাধ্য হয়েছে।
উল্টো ঘটনা ঘটেছে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। গবেষণা বলছে, এএমআরের কারণে ৭০ বছরের কোঠায় যাদের বয়স, তাদের মধ্যে মৃত্যু বেড়েছে ৮০ শতাংশ। একই কারণে বয়স্কদের যেকোনো চিকিৎসাসেবা দেয়াও কঠিন হয়েছে। বিগত তিন দশকের চিত্র তুলে ধরে গবেষণায় বলা হয়েছে, দিন দিন এই সুপারবাগের সক্ষমতা বেড়েছে।
এই গবেষণা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকসের গবেষক ও ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার সহলেখক মোহসেন নাগবি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স যে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি, সেটাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলে এই হুমকি আরও বাড়বে।
উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব, সেই কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ব্যবহার করা গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স