ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির

দেখা দিয়েছে ভাঙন, অসহায় নদীপাড়ের মানুষ

  • আপলোড সময় : ০১-১০-২০২৪ ০৩:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১০-২০২৪ ০৩:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন
দেখা দিয়েছে ভাঙন, অসহায় নদীপাড়ের মানুষ তিস্তার পানি কমতে শুরু করলেও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোববার রাত ১১টার পর থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যার ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। ছবিটি সোমবার তোলা
তিস্তায় কমছে পানি
* লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, এবং দুধকুমার নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে
* অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে
* ভুক্তভোগীরা দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন
* পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কিছু এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নদী ভাঙনের ফলে তিস্তাপাড়ের মানুষ এখনো ভীষণ অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, এবং দুধকুমার নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমতে থাকলেও একইভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে ভাঙনের ফলে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কিছু এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আগামী তিন দিনের মধ্যে তিস্তা ও অন্যান্য নদীর পানি আরও কমতে পারে, যা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নদীভাঙন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে তিস্তার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তীব্র নদীভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
অপরদিকে অব্যাহত ভাঙন দেখা দিয়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের। এ ছাড়া তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমনসহ বিভিন্ন ফসল।
কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন খেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন খেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন আবাদের ক্ষতি না হলেও অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়লে ভাঙে, কমলেও ভাঙে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। যার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিতরা।
রাজারহাট উপজেলার তিস্তার অববাহিকার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তার কয়েক দিনের ভাঙনে আমার রোপা আমন আবাদসহ জমি নদীতে চলে গেছে। জমি গেছে গেছে, বাড়িও কখন যেন নদীতে চলে যায়। আমার এখানে গত দুই দিনে প্রায় ৫০টির মতো পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি না থাকায় কাজ করতে পারছেন না বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
এ দিকে উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে ফুলেফেঁপে উঠা তিস্তার পানি লালমনিরহাটে কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার টানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
কয়েক দিনের বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বানভাসি মানুষ। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় জেলার ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্ধ রয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ৫১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে; যা বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন।
এ ছাড়া দুপুর ৩টায় পানি আরও কমে ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করলে মানুষ ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করে। তবে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার বানভাসিদের যেন দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছেই না। পানি নামতে না নামতেই দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বাহাদুর পাড়া, গরীবুল্লাহপাড়া, চৌরাহা, গোবর্দ্ধন, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, তাজপুর, হরিনচড়া ও গোকুণ্ডা এলাকায় নদী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২৪ ঘণ্টায় তিস্তার ভাঙনে অন্তত ৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক বাড়িঘর।
বাহাদুর পাড়ায় ভাঙনের শিকার আজিমুল হক (৫৫) বলেন, তিন দিন ধরে ঘরের ভেতর পানি নিয়া কোনো রকমে দিন পার করছি। পানি কমার সাথে সাথে রোববার রাইত থাকি শুরু হইছে নদীর ভাঙন। কোনো রকমে ঘর দুটা সারে নিবার পাইলেও আর কিছু রক্ষা কইরবার পাই নাই।
হরিণচড়া এলাকার ওলিয়ার রহমান বলেন, তিস্তার ভাঙনে এ পর্যন্ত চারবার বাড়ি সরে নিছি। ফির আইজ ভাঙনের জন্যে বাড়ি সারা নাইগবার নাগছে। আল্লায় খালি হামারে পরীক্ষা নেয়।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, দুপুর পর্যন্ত পাঁচটি বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরের জমিও নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
তার ইউনিয়নের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া পাঁচ টন চাল বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মহিষখোচা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিত হোচত বলেন, এখনও অনেক বাড়িঘরে পানি আছে। পুরোপুরি পানি নামতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় তার ইউনিয়নের অনন্ত ১৫টি বাড়ি নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বলে জানান তিনি।
দুপুরে ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জরুরি ভিত্তিতে যে-সব এলাকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব সেখানে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে তা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে যেখানে সেটি সম্ভব নয়, সেটি রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৩ লাখ টাকা ও ৯০ টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত থাকলেও নদীভাঙনের প্রকোপে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে স্থানীয় মানুষ।
তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি কমে আগামী ৩ দিনে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, রোববার তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, সেটি আজ ডালিয়া এবং কাউনিয়া দুই পয়েন্টেই নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে।
অন্যদিকে ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ।
তবে উজানে পদ্মার পানি বাড়লেও সেটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আগামী ৩ দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে পারে।
তাতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদী- আত্রাই, পূনর্ভবা, করতোয়া, টাঙ্গন ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি কমছে।
ইছামতি-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি সমতল বাড়ছে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের এসব নদীর পানি আগামী তিন দিন কমতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ওদিকে রাজশাহী বিভাগে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, তবে তা এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ বিভাগে আত্রাই, বাঙ্গালি, করতোয়া ও ছোট যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে মহানন্দা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের খোয়াই ও যাদুকাটা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও সারিগোয়াইন ও কংস নদীতে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচে আছে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স