ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের ২৩৮২ পদে দ্রুত নিয়োগে পিএসসিতে চিঠি ভুয়া র‌্যাবকে ধরল আসল র‌্যাব, উদ্ধার ২ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি গ্রেফতার টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জনপ্রতি ১৫ হাজারে ৩৭ রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকিয়েছে দালালচক্র

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ১২:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন
জনপ্রতি ১৫ হাজারে ৩৭ রোহিঙ্গাকে দেশে ঢুকিয়েছে দালালচক্র
মিয়ানমার থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২১ শিশু, ১২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ শামলাপুরে ফিশিং ট্রলার মাধ্যমে শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে স্থানীয়রা ৩৭ জনকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। বাকি অন্তত ৬৩ জন পালিয়ে পাশের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয় স্বীকার করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দালালের মাধ্যমে নৌকায় মিয়ানমারের থেকে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহতায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিছে। তারা আমাদের ক্যাম্প তৈরি করতে বলছিল। আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তাই প্রাণে বাঁচতে নাফ নদীর তীরে আসি। সেখানে একটা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। আমাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা। রোহিঙ্গা ফাতেমা বেগম (৫০) বলেন, আমাদের ওপর বেশি জুলুম-নির্যাতন করতাছে আরাকান আর্মি। আমাদের সামনে অনেক মানুষকে ড্রোন দিয়ে হত্যা করছে। টাকাপয়সা, গয়না কেড়ে নিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নাফ নদী কিনারে গিয়ে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমহাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে একটি রোহিঙ্গা নিয়ে আসে। পরে তাদের সমুদ্রের তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহতায় দেওয়া হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স