ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ
বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট

ময়মনসিংহে ধীরগতিতে কমছে বন্যার পানি

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ০৩:১৪:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ০৩:১৫:১৪ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে ধীরগতিতে কমছে বন্যার পানি নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে জেলার সদর, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা,পূর্বধলা, বারহাট্টায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় এক লাখ পানিবন্দি মানুষ। মানুষের খাবারের পাশাপাশি গো খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। জেলার অনেক জায়গায় আমন ও শাক-সবজি খেত তলিয়ে গেছে। এতে করে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে কিছু এলাকায় অপরিবর্তিত আছে বন্যা পরিস্থিতি।
বন্যাকবলিত এলাকায় খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পানিবাহিত রোগ ছাড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিন উপজেলাতেই প্রশাসনের পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী-র‌্যাবসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।
ফুলপুর: টানা বৃষ্টি ও ঢলের কারণে ফুলপুর উপজেলায় গত রোববার থেকেই পানি বাড়তে শুরু করে। শেরপুর জেলার মালিঝি ও কংশ নদী দিয়ে পানি ছনধরা ইউনিয়ন দিয়ে উপজেলাটিতে প্রবেশ করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। আজ সব পর্যন্ত উপজেলাটির ছনধরা, সিংহেশ্বর ও ফুলপুর সদরে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বালিয়া ও রূপসী ইউনিয়নে পানির অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ৩৫টি গ্রামের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছে।
দুপুরে ভাইটকান্দি থেকে ধুরাইল বাজার সড়কের ভাটপাড়া এলাকায় কথা হয় আবদুল হকিম (৬৫) নামের এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি বলেন, এমন পানি আর হয় নাই। সাপ্তাহানি ধইরা পানি। গেছে কাইল থাইকা পানি একটু কমতাছে। এই বন্যায় সবার ক্ষতি কইরা গেল।
পোগাপুটিয়া গ্রামের চাষি সমশের আলী (৭০) বলেন, পানি কমতাছে অল্প অল্প। এইরম বন্যা ছোডু বালা দেখছিলাম। আর অহন দেখলাম। ১৪ কাডা জমিত ধান করছিলাম, হেউনো মাথা উড়া পানি অহন। আল্লায় যে কিবায় দিন নিব হেই চিন্তা করতাছি।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানান ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশাসনের স্থাপন করা কন্ট্রোল রুমে ত্রাণের জন্য মানুষ ফোন করছে। আমরা বন্যাদুর্গত বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
হালুয়াঘাট: অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বোরাঘাট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে পানিবন্দী হয়ে আছেন ৬ হাজার পরিবার। উপজেলার নড়াইল, বিলডোরা ও শাকুয়াই ইউনিয়নে আজ বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। তবে উপজেলাটির ৯টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে হালুয়াঘাটের নড়াইল ইউনিয়নের বিকেকে হাইস্কুলে সকাল ৯টায় মেডিকেল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
হালুয়াঘাটে তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ। তিনি বলেন, ৯টি ইউনিয়নের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। 
ধোবাউড়া: গত শুক্রবার দুপুরের পর অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ধোবাউড়া উপজেলা। তবে দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নে গত রোববার বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। গত সোমবার রাত থেকে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের পানি কমলেও গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদরে আজ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। এসব এলাকায় পানিবন্দী হয়ে আছেন ৫৮ হাজার মানুষ। পুরো এলাকাজুড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত শারমিন জানান, পানিবন্দী এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব আরও বাড়তে পারে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য