ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

যেকোনো উপায়ে থামাতে হবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাণিজ্য

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১১:০৪:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১১:০৪:৫৯ অপরাহ্ন
যেকোনো উপায়ে থামাতে হবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাণিজ্য


চিকিৎসকরা সেবার মানসিকতা নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করবেন-এটাই নিয়ম। রোগীকে তারা সারিয়ে তুলবেন, এটাই হওয়া উচিত তাদের ব্রত কিন্তু দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ চিকিৎসকই রোগী দেখছেন ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে। মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সারাদেশে চিকিৎসার নামে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় নেই মানবিকতা। দখল করে নিয়েছে বাণিজ্য। কারণে সরকারি নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অনাস্থায় হাজার হাজার রোগী যাচ্ছে দেশের বাইরে। যাদের টাকা আছে তারা দেশের বাইরে যাওয়ার পাশাপাশি রাজধানীর নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন। তবে সেখানেও আছে গলাকাটা বাণিজ্য। আর যাদের টাকা নেই, তারা মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানি-প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে নামে-বেনামে ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেই সঙ্গে কমিশন বাণিজ্যে ক্রমাগত বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বর্তমান একজন রোগীর মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ দশমিক শতাংশই ওষুধ ক্রয়ে খরচ হচ্ছে। এতে বিপর্যয়মূলক স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হয়ে বছরে ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন। এই ধারা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে অচিরেই অপ্রত্যাশিত রোগব্যাধি মৃত্যু বাড়বে। অন্য এক গবেষণায় দেখা যায় মেডিকেল কলেজসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকার নেপথ্যেও রয়েছে এই কমিশন বাণিজ্যে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে এসে ডাক্তারের কাছে গেলে রোগীদের প্রয়োজন ছাড়াই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ডাক্তার নির্দিষ্ট করে বলে দিচ্ছেন কোন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাগুলো করাতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে রোগীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ ক্লিনিকে। মূলত দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তাররা কোন ধরনের রোগীকে কী রোগের জন্য কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছেন, পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কী না তা দেখতে অডিট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় এক শ্রেণির চিকিৎসক এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। মানসম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল থাকা দরকার। কিন্তু দেশের প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য দশমিক জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আর এই সঙ্কটের বেশিরভাগই হলো সরকারি হাসপাতালগুলোতে। সরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি মানসম্পন্ন সেবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায়, প্রতিবছর নানা অজুহাতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকে। তাই সরকারকে এখনি ভুয়া হাসপাতাল, অসাধু চিকিৎসক চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে স্বাস্থ্যসেবার নামে গড়ে ওঠা অমানবিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা। সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে তাদের জন্য নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, শুধু দরকারই রোগীকে টেস্ট দিতে হবে। হাসপাতাল-ক্লিনিকের মতো সেবা খাত যেন আর অবৈধ, ভুয়া ব্যক্তির দখলে না থাকে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই দেশের সাধারণ মানুষদের প্রত্যাশা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ