ঢাকা , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

চার বছরে ইলিশের দাম বেড়েছে তিনগুণের বেশি

  • আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০৩:১৮:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০৩:১৮:৪৬ অপরাহ্ন
চার বছরে ইলিশের দাম বেড়েছে তিনগুণের বেশি
২০২০ সালে ইলিশের ভরা মৌসুমে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে। কিন্তু সেই ইলিশই এখনকার বাজারে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আধাকেজি ওজনের ইলিশ ৩শ টাকা আর ছোট আকারের ইলিশ প্রতি কেজি দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। ৩০০ টাকা বা ৪০০ টাকা কেজির কোনো ইলিশ মাছ এখন আর বাজারে পাওয়া যায় না। ইলিশের দাম বাড়তে শুরু করেছে ২০২১ সালের পর থেকে। কারণ তখন থেকেই মেঘনায় ইলিশের আকাল দেখা দেয়। তবে সে বছর এখনকার দামের চেয়ে কিছুটা কম ছিল। আবার ২০২২ সালের দিকে যখন জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে যায়, তখন ইলিশের দাম বেড়ে যায় আরও এক ধাপ। এভাবেই বছর বছর ইলিশের দাম বেড়ে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে এ মাছের স্বাদ নেওয়া এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ২০২০ সালে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকার নিচে। ২০২১ সালে ওই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে হাজার টাকার মধ্যে। আবার একই ওজনের ইলিশের কেজি এখন ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকার কম নয়। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যেত ৮০০ টাকার মধ্যে। সেই মাছের বর্তমান বাজার দর ১২০০ টাকার কমে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। মাঝারি আকারের ইলিশ পাওয়া যেত কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা করে। নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে ছিল যে ২০০ থেকে আড়াইশ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ। সেই জাটকাও এখন সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার থেকে ৭০০ টাকার কমে এখন আর কোনো জাটকা বিক্রি হয় না। তিন বছর আগেও একই ওজনের জাটকা পাওয়া যেত আড়াইশ থেকে তিনশ টাকার মধ্যে। চার বছরের ব্যবধানে মাছের মূল্য দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ হওয়ার পেছনে নদীতে মাছের অকাল, জ¦ালানি তেলের দাম এবং মাছ শিকারের খরচ বাড়াকে দায়ী করছেন জেলে, আড়তদার, ক্রেতা এবং বিক্রেতারা। ২০২১ সালে বাজার দর অনুযায়ী এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম হাঁকানো হতো ১২শ থেকে ১৩শ’ টাকা। পাঁচশ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬শ থেকে ৭শ টাকার মধ্যে। আর ছোট আকারের ইলিশ ৪শ থেকে ৫শ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এক বছর আগে ২০২০ সালে ইলিশের বাজার দরের দিকে তাকালে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকার মধ্যে। আধাকেজি ওজনের ইলিশ ৩শ টাকা আর ছোট আকারের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি দুইশ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হতো। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মতিরহাট এলাকার জেলে কামাল হোসেন, জিলাল ও নুর করিম বলেন, মেঘনা নদীতে গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ মাছ কমে গেছে। গত চার বছর আগে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেতাম। কম দামে বিক্রি করেও আমাদের অনেক লাভ হতো। কিন্তু এখন বেশি দামে বিক্রি করেও লাভ হচ্ছে না। একই এলাকার জেলে মো. জয়নাল মাঝি বলেন, ট্রলারে জ¦ালানি তেল ভরে আমাদের সাগরে মাছ শিকারে যেতে হয়। কিন্তু ডিজেলের দাম প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। আর নদীতে মাছও নেই। তাই মাছ শিকারের খরচ বাড়ার কারণে বাজারে ইলিশের দামও বেশি। ট্রলার মাঝি শাহ আলম হাজী বলেন, নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। কম দামে মাছ বিক্রি করেও আমাদের লাভ হতো। জেলেদের পোষাতো। কিন্তু এখন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে নদীতে ট্রলার পাঠাই। মাছ ধরে ঘাটে এনে বিক্রি করি। নদীতে গিয়ে যে খরচ হয়, সে খরচও ওঠে না। আমাদের লাভের বদলে লোকসান হয়। ঘাটে বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে। মতিরহাট মাছ ঘাটের আড়তদার মাঈন উদ্দিন বলেন, তিন চার বছর আগে ঘাটে প্রচুর মাছ আসতো। দুই বছর আগেও পাইকারি বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হতো ৭০০-৮০০ টাকার মধ্যে। খুচরা বাজারে হাজার টাকার মধ্যে ছিল। সেই ইলিশ এখন ঘাটেই ১৫০০ টাকার ওপরে। বাজারে ১৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা মাছ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, দুই বছর আগেও জাটকার কদর কম ছিল। ২০০ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হতো জাটকা। এখন ৬০০ টাকার নিচে কোনো জাটকা নেই। মতির হাট মাছঘাটে ইলিশ মাছ কিনতে আসা ক্রেতা টিপু সুলতান বলেন, বাড়ির জন্য মাছ কিনতে আসছি। কিন্তু যে দাম, কেনার সাধ্য নেই। তিন-চার বছর আগেও মাছের এত দাম ছিল না। এখন ঘাটে মাছ নেই, তাই দাম কয়েকগুণ বেশি। তিনি বলেন, ঘাট থেকে জাটকার হালি কিনেছি ৫০০ টাকা করে। ৫০০ গ্রাম ওজনের ১০টি ইলিশ কিনেছি ৬ হাজার টাকা দিয়ে। মাছের যে দাম, ক্রেতাদের সাধ্যের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স