ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

স্বামী ৪৩-স্ত্রী ৩৩, একসঙ্গে করলেন এইচএসসি পাস

  • আপলোড সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন
স্বামী ৪৩-স্ত্রী ৩৩, একসঙ্গে করলেন এইচএসসি পাস
শিক্ষার কোনো বয়স নেই, ইচ্ছে আর আগ্রহ থাকলে যে অনেক কিছুই করা সম্ভব তাই যেন প্রমাণ করলেন বিয়ের ১৬ বছর পর একসঙ্গে এইচএসসি পাস করা নাঈম-শারমীন দম্পতি। কিশোরগঞ্জে কুলিয়ারচর উপজেলার বাসিন্দা ৪৩ বছর বয়সী মো. বদিউল আলম (নাঈম) এবং ৩৩ বছর বয়সী শারমীন আক্তার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার ঘোষিত ফলাফলে কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এই দম্পতির মধ্যে স্বামী নাঈম পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ২৯ এবং স্ত্রী শারমীন পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৫। পেশায় ঠিকাদার নাঈম কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের মো. কনু মিয়া ও মোছাম্মাৎ সাজেদা দম্পতির ছেলে। ১৯৯৭ সালে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তখন। অপরদিকে গৃহিনী শারমীন আক্তার কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন ও মায়া বেগম দম্পতির মেয়ে। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয় তার। ২০১০ সালে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও সন্তান গর্ভে আসায় আর পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে আর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি। ২০০৮ সালে বিয়ে হওয়া এ দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তাদের বড় মেয়ে বুশরা আক্তার বীথি স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও মেজো ছেলে রেদোয়ান আলম সিয়াম একই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সবার ছোট মেয়ে তাসনীম (৫) এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। এ দম্পতি জানান, ২০২০ সালে বড় মেয়ে বীথি ও তৎকালীন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনার উৎসাহে নতুন করে পড়াশোনা করার আগ্রহ জাগে তাদের। ওই বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তারা দুজন বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় নাঈম জিপিএ ৪ দশমিক ৯৫ এবং স্ত্রী শারমীন জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। বদিউল আলম (নাঈম) বলেন, বিয়ের আগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলেও কয়েক বার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যবসা ও সাংসারিক চাপে শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। শারমীন আক্তার বলেন, মনের জোর এবং স্বজনদের উৎসাহে পড়াশোনা করে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরে তারা নিজেরা আনন্দিত হওয়াসহ তাদের পরিবারে যেমন আনন্দের বন্যা বইছে, তেমনি এলাকার লোকজনও খুশি হয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে বলে জানালেন এই দম্পতি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স