ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রিজার্ভ ছাড়াই দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ হলো যেভাবে

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ১১:৫২:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ১১:৫২:৪১ অপরাহ্ন
রিজার্ভ ছাড়াই দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ হলো যেভাবে

* ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানোর পর আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে অর্থনীতি
* ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা কমিয়ে ৪০০ মিলিয়নে আনা হয়েছে
* সার ও বিদ্যুতের জন্য টাকা দেয়া হয়েছে, দেয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে
* আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনা হবে

দেশের ব্যাংকগুলোতে টাকার সংকট থাকলেও এখন ডলারের সংকট নেই। অর্থপাচার ঠেকানোর পাশাপাশি দুর্নীতি কমায় আন্তব্যাংকে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভে হাত না দিয়ে গত দুই মাসে আন্তব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেড় বিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগে ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট ছিল। এখন অধিকাংশ ব্যাংকে ডলারের মজুত বেড়েছে। তিনি বলেন, টাকার সংকট থাকলেও ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের সংকট নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রবাসীরা মূলত ব্যাংকে ডলার পাঠায় রেমিট্যান্স আকারে। রপ্তানি আয়ের টাকাও প্রথমে ব্যাংকেই জমা হয়। অর্থাৎ ডলার প্রথমে ব্যাংকগুলোতেই জমা থাকে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এলসি খোলে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করে দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে রিজার্ভে জমা করে। আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনে, আবার বিক্রিও করে। কিন্তু আমি রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছি না। যেভাবে দেনা পরিশোধ করা হলো তার ব্যাখ্যায় গভর্নর বলেন, ধরেন ইসলামি ব্যাংকে প্রচুর রেমিট্যান্স আসার কারণে সেখানে উদ্বৃত্ত ডলার আছে। কিন্তু তাদের কাছে টাকা নেই। আমরা সোনালী ব্যাংককে বা রূপালী ব্যাংককে বলেছি সমপরিমাণে টাকা দিয়ে ইসলামি ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে সারের বকেয়া পরিশোধ করতে। তারা তাই করেছে। আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী বা রূপালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার দিতো। এই দুই মাসে রিজার্ভে হাত দিতে হয়নি। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে আগের গভর্নরের সময়ে আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। গত দুই মাসে আন্তব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেনা আছে। আশা করছি, অচিরেই এই দেনাও পরিশোধ হবে রিজার্ভে হাত না দিয়েই। অর্থপাচার ঠেকানোর পাশাপাশি দুর্নীতি কমেছে এই কারণে আন্তব্যাংকে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখন ডলারের চাইতে টাকার দাম বেশি। যে কারণে ডলারের প্রতি মানুষের এখন আগ্রহ কম। টাকার প্রতি আগ্রহ বেশি। ডলারের তুলনায় টাকাতে এখন বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে তেল, গ্যাস, সারসহ দরকারি পণ্য আমদানিতে। গভর্নর জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানোর পর, আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, জ¦ালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেলো বছর দুয়েক ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো। আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে, গেলো দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার আশা গভর্নরের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৪০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেওয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেওয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনবো। তখন বাজারে লিকুইডিটি আরও বাড়বে। গভর্নর বলেন, এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই। তাহলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও কিছুটা গতিশীল পাবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স