ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’

বিআইএম’র তানভীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন
বিআইএম’র তানভীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)’র ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তানভীর হোসাইন। বিআইএম’র ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টাও  তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রভাবশালী এই পিডির বেপরোয়া অনিয়ম আর সীমাহিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিআইএম’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহৃার করে এই পিডি প্রকল্পের শুরু থেকেই অর্থ লোপাট করেছে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন দিবসে আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিলে যেতে বাধ্য করেছেন। বৈষম্য বিরোধী বিআইএম’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা  প্রকল্প পরিচালক তানভীর হোসাইনের অনিয়ম দুর্নীতি ও দলীয় করনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য  অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন আদিলুর রহমান খানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তানভীর হোসাইন ইতিমধ্যে কামিয়াছেন কোটি কোটি টাকা।  চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে পিডির দায়িত্ব পেয়ে তিনি অনিয়মের মাধ্যমে মা ও ভাইয়ের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে নিয়মনিতি না মেনে প্রকল্পের কাজ দিয়েছেন। স্বজনপ্রীতির কারণে হালিমা সিদ্দিকা ট্রেডার্স, সরদার ট্রেডার্স ও সিকো ইন্টারন্যাশনাল নামের এ তিনটি ঠিকাদারী  প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ করছেন তিনি। এর মধ্যে সরদার ট্রেডার্সের মালিক তানভীরের আপন ভাই।
এ ছাড়া বিআইএম প্রকল্পের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজটিও পেয়েছে সিকো ইন্টারন্যাশনাল। যার ইজিপি আইডি- ৮৮৫৫৪৬। দেয়ালটি নতুন নির্মাণের কথা থাকলেও পুরনো দেয়ালকেই প্লাস্টার করে নতুন দেওয়াল বানিয়েছেন পিডি তানভীর। সরেজমিন ঘুরে সত্যতা পাওয়া গেছে। যেখানে ৩৭ টন রড ব্যবহারের কথা সেখানে এক টন রডও ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরের রাস্তার কাজ পায় পিডি তানভীরের ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান সরদার ট্রেডার্স। সেখানেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে গড়েছেন বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ। রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগে কিনেছেন ফ্ল্যাট। আদাবরের ১৭ নম্বর রোডের ১৭-১৮ কমফোর্ট হাউজিংয়ে ড্রিম টাওয়ারেও রয়েছে তার একটি ফ্ল্যাট। এই ফ্লাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। এছাড়াও আদাবরের বায়তুল হাউজিং এলাকায় গার্ডেন টাওয়ার ও লেট ভিউতে একাধিক ফ্লাট রয়েছে। আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসাটিও তার নিয়ন্ত্রণে। যার নাম রিলায়েন্স নিবাস।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তানভীর হোসাইন জানান, হালিমা ট্রেডার্স নামে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের কাজ পেয়েছে, তার সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে তার মায়ের নামের মিল রয়েছে। সরদার ট্রেডার্স তার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান বলে স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিআইএম’র প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজটি পেয়েছে পিডি তানভীর হোসাইনের যোগসাজশে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হালিমা সিদ্দিকা ট্রেডার্স। সেখানে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তিনি। সিকো ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে করা একই ভবনের থাই-টাইলসের কাজেও করেছেন ব্যাপক অনিয়ম। ২২ হাজার স্কয়ার ফিট থাই লাগানোর কথা থাকলেও সবমিলিয়ে ৪-৫ হাজার স্কয়ার ফিট থাইয়ের কাজ করেছেন।
এ ছাড়াও ভবনটিতে টাইলস স্থাপনের কথা ছিল ১১ হাজার স্কয়ার ফিট। সেখানেও তিনি সবমিলিয়ে ৪ হাজার স্কয়ার ফিট টাইলস লাগিয়েছেন যা কি-না এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এসব কাজে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক পরিমাণও কাজ হয়নি বলে দাবি এখানকার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তবে তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ