ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রমাণ হলো আওয়ামী লীগ জনগণের রায় কেড়ে নিয়েছিল-মির্জা ফখরুল

  • আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৪:২৪:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৪:২৪:৪৮ অপরাহ্ন
প্রমাণ হলো আওয়ামী লীগ জনগণের রায় কেড়ে নিয়েছিল-মির্জা ফখরুল

নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে ভোটে কারচুপির প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল রোববার দুপুরে শপথ গ্রহণের পর শাহাদাতকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমন প্রতিক্রিয়া দেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশটাকেই ‘ধ্বংস’ করেনি, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রতিটি নির্বাচনকে তারা তাদের মত করে সাজিয়েছিল।
চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয় নেতা প্রতিযোগিতা করে ‘জিতেছিলেন’। কিন্তু আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্টরা’ বলপ্রয়োগভাবে জনগণের ফলাফল তারা কেড়ে নিয়েছিল।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পাওয়া নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত ধানের শীষ নিয়ে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
প্রায় এক মাস পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তাতে বলা হয়, রেজাউল করিম নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু ‘আনুষ্ঠানিকতা’ হয়েছে।
যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয় ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন বিএনপির প্রার্থী শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তারও আগে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন বাতিল করে দেওয়ায় শাহাদাত চেয়ারে বসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে সব প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে শাহাদাত এখন চট্টগ্রামের মেয়র হয়েছেন, যদিও তিনি কোনো কাউন্সিলর পাচ্ছেন না। কারণ, সরকার কাউন্সিলর পদও বাতিল করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালকে তারা পূর্বের নির্বাচনকে বাতিল করে শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। সেই সাথে অন্তর্র্বতী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তারা আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে তাকে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে শপথ পড়িয়েছেন।
‘তারা যেন আর ফিরে আসতে না পারে’
আওয়ামী লীগ যেন আর ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য জনগণের দুর্বার প্রতিরোধের আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এবং আগামী দিনের নির্বাচনগুলো যেন অবাধ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয় আমরা সেই প্রত্যাশা করছি।”
‘চট্টগ্রাম হবে গ্রিন, ক্লিন, হেলথ সিটি’
এর আগে শাহাদাতকে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ান।
এ সময় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মাহবুবে রহমান শামীমও উপস্থিত ছিলেন।
জিয়ার সমাধিতে গিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামকে বাঁচালে বাংলাদেশ বাঁচবে। আমাদের যে ইশতেহার, সেই ইশতেহারে চট্টগ্রামকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি করার যে চিন্তাভাবনা, তার জন্য আমি কাজ করে যাব।
তার মামলার রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শাহাদাত।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স